ইফতারির বাহার নেই বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বদলে গেছে রমজান ও ইফতার আয়োজনের চিত্র। মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণে ক্রেতা শূন্য বাজার। এবার রমজান ঘিরে যেমন নেই কোনো বাড়তি আয়োজন, তেমনি নেই ইফতার বাজারের কোনো উৎসব আমেজ। গত ১৭ এপ্রিল রোজার চতুর্থ দিনেও ছিল না ইফতার বিক্রির হাঁকডাক, কেনার জন্য ভিড়ভাট্টা। মতলব বাজারসহ বিভিন্ন বাজারগুলোতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় লেগে থাকত, সেখানে ছিল সুনসান নীরবতা। লোকজন বাস্তবতা মেনে নিয়ে ঘরেই সীমিত আয়োজনে ইফতার সেরেছে। প্রতিবছর ইফতার বাজারকে কেন্দ্র করে মতলব থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের হাটবাজারের চিত্র বিকেল হলেই বদলে যেত। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সামনের ফুটপাতে ইফতারসামগ্রী সাজিয়ে নিয়ে বসত। বাহারি ইফতার সামগ্রীর বাজার বসত রিক্সা ষ্ট্যান্ড, কলেজ গেইট, বরদিয়া, নারায়নপুর, নায়েরগাঁও বিভিন্ন স্থানে। তবে ইফতার বাজার না থাকলেও মুসলমানদের ঘরে ঘরে ইফতারসামগ্রী ঠিকই তৈরি হয়েছে। এ কারণে বাড়তি ঝামেলা হলেও এর মধ্যে একটি ইতিবাচক দিকও দেখছেন পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ইফতারে ঘরে বানানো স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার জন্য প্রতিবছর তাঁরা পরামর্শ দিলেও অন্যান্য বছর তেমন কার্যকর হতো না; কিন্তু এবার সেটা হচ্ছে, যা স্বাস্থের জন্য ইতিবাচক বলে তাঁদের অভিমত। ইফতারের সময় মসজিদগুলোতেও ইফতারের আয়োজন হতো। নামাজে মুসল্লির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ফলে সেটাও বন্ধ। বিভিন্ন মসজিদে দেখা গেছে, যারা নামাজে গেছে তারা বাসা থেকেই ইফতার নিয়ে গেছে। রমজান এলে আতর, তসবিহ, টুপি ফেরি করে বিক্রি করার যে রীতি ছিল, এবার তারও দেখা মেলেনি। এদিকে, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণের কোন হাটবাজারে লকডাউনের কারনে ক্রেতা নেই। রোজাদারেরা ঘরেই নিজ নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন রকমের ইফতার তৈরী করছে। ইফতার বিক্রেতারা জানান, লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা নেই। বাহারি ইফতারও তৈরী করতে ও বিক্রি করতে পারছিনা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply