এক দশক পূর্তি : সম্পাদকীয়

আজ ১৩ নভেম্বর। চাঁদপুর প্রতিদিনের ১১তম জন্মদিন। দশম বছর পূর্তি। একাদশ বর্ষে পা রাখছে পত্রিকাটি। যেতে যেতে একদশকে পার হল তার। এই চলার পথ দীর্ঘ না হলেও ছোট বলা যাবে না। এতোটা পথ আসতে নানা চড়াই উৎরাই ছিল। মসৃণ-অমসৃণ পথ দুটোকেই সাথে পেয়েছে। অনন্দ, দুঃখ, কষ্ট, বেদনায় মিশ্রিত দিনগুলোর সবই ছিল এর পাঠকদের সঙ্গে নিয়েই। সবসময়ই বড় করে দেখা হয়েছে পাঠক ও শুভান্যুধায়ীদের। সাহস করে সবকিছু লিখতে পারা, নানা সমস্যাগুলো নিরবিচ্ছিন্ন করে তুলে ধরার একশ’ ভাগ দাবি সে করেনি বা করছেও না। তবে সময়ের নির্ভরশীল দৈনিক- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পত্রিকার পরিবার তথা সাংবাদিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই চেষ্টা করেছে সাধারণ পাঠক ও সুধী সমাজে একে সমাদৃত করতে মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সে জায়গায় চাঁদপুর প্রতিদিন পৌঁছতে পেরেছে এই এক দশকে। সকল অসাম্প্রদায়িক চেতনা রাজনৈতিক দল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আমাদের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক অকৃত্রিম বিশ্বাস এবং দেশপ্রেমকে বুকে লালন করে জেলার এবং জেলার বাইরে পুরো দেশটার প্রকৃতির ইতিহাস যেটুকু তার সামর্থ্য,ে তা তুলে ধরতে চাঁদপুর প্রতিদিন এতটুকু কার্পণ্য করেনি, করবেওনা। আর এটি তার প্রতিশ্র“তির একটা বড় অংশ। চাঁদপুর প্রতিদিন লালন করে সম্প্রীতির অটুট বন্ধন। সাধারন মানুষের পরম বন্ধু। আজ এই মাহেন্দ্রক্ষণে আপনারা চাঁদপুর প্রতিদিনের জন্য দোয়া/আশীর্বাদ করুন যেন সে তার নিজস্ব জায়গায় থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র এমনকি রাষ্ট্রের বাইরে সকল অসঙ্গতিকে দূর করে নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশনা যেন অটুট রাখতে পারে। এর প্রতিটি সাংবাদিকের কলম অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং এর ন্যায়ের পথে লিখতে পারে। নৈরাজ্য ও অসঙ্গতি এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে তার রয়েছে আপোসহীনতা। আর তাই যেন সে অক্ষয় রাখতে পারে যুগে যুগে। পরিশেষে বলবো এই মহামারি করোনাকালে পত্রিকা শিল্প চরম হুমকির মুখে। চাঁদপুর প্রতিদিনও এর ভেতরে। আশা করি আপনারা এই অবস্থায় সাহস যোগাবেন। আগেও যেমনি করেছে। সকল অসুরকে পিষ্ট করে এগিয়ে যেতে পারি, চাঁদপুর প্রতিদিন-এর কামনাই এইটুকুই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply