কচুয়ায় ৪র্থ শ্রেণি’র শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কচুয়া প্রতিনিধি :
কচুয়ার কাদলা গ্রামে ৪র্থ শ্রেনিতে পড়ুয়া ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। ভিকটিমের বাবা বোরহান সর্দার বাদী হয়ে অভিযুক্ত শাহীন সর্দার (৪০) কে প্রধান আসামী করে গতকাল রবিবার কচুয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। যার নং-৩১। ঘটনার মীমাংসা ও আলামত নষ্ট চেষ্টার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই বাড়ির মোড়ল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত ১৬ মে কাদলা গ্রামের বোরহান সর্দারের শিশু কন্যাকে জেঠা সম্পর্কে একই বাড়ির শাহিন সর্দার সুকৌশলে তার গৃহে ডেকে হাত পা বেধেঁ যৌন নির্যাতন করে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। দু’দিন পর তার মা পারভীন বেগমকে বিষয়টি জানালে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় এবং বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ২৩ মে স্থানীয় ভাবে ১লক্ষ টাকায় রফাদফা করার চেষ্টা করা হয়। পরে ভূক্তভোগীর পরিবার ওই রায় না মেনে সর্বশেষ শনিবার রাতে কচুয়া থানায় আইনের আশ্রয় নেয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শাহীন সর্দার এলাকায় গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। শাহীন সর্দারের স্ত্রী,৪ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। ভিকটিমের দাদি হাজেরা বেগম জানান, শাহীন সর্দার ঘটনার পর আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
ভিকটিমের বাবা বোরহান সর্দার বলেন, জাহাঙ্গীর আলম কোনো অপরাধী নয়। আমরা তাকে আসামী করিনি। তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমি তার মুক্তির দাবি করছি। এবং মুল অপরাধীর শাস্তির দাবি করছি।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, শিশুটির পরিবারের এজাহারের ভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে এবং মোড়ল জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার আলামত নষ্ট ও মীমাংসার কাজে সহযোগিতার অপরাধে তাকে আটক করা হয়েছে।