করোনায় লকডাউন চাঁদপুরের বাজারে বেড়েছে ভীড়

আশিক বিন রহিম :
সমন্বয়হীনতা আর নানান অজুহাতের কারণে ভেস্তে গেলো চাঁদপুরের মাঠের বাজার ব্যবস্থা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খোলা মাঠে বাজার ব্যবস্থা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলো। অথচ মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ ২টি স্থানেই পুনরায় ফিরে এসেছে চাঁদপুর শহরের প্রধান কাঁচা তরকারি ও মাছের বাজার। ফলে ব্যাপক আয়োজন আর প্রচার প্রচারণা করা চাঁদপুর পৌর ঈদগাহ ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে সুনসান নীরবতা থাকলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শহরের পালবাজার এবং বিপণীবাগ বাজার। করোনা আতংকের মধ্যেই শহরের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে ভীড়।
গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের প্রধান বাজার পালবাজারে গিয়ে দেখা যায়, জায়গা ছোট হওয়ায় শত শত ক্রেতা গা ঘেঁষিয়ে কেনাকাটা করছে।
এ ব্যপারে পালবাজারের মাছ ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া জানান, পৌর ঈদগাহে বাজার চালানোর মতো কোন পরিবেশ নেই। গত ক’দিনের বৃষ্টিতে আমাদের ১০ জন অসুস্থ হয়ে গেছে। আমরা পালবাজারেই মাছ বিক্রি করবো। আমাদের ৮০ জন ব্যবসায়ী আছে। আমরা ৪০ জন করে ভাগ করেছি। প্রতিদিন ৪০ জন করে মাছ বিক্রি করবে।
পালবাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী নাছির জানান, পৌর ঈদগাহে মাছ বাজার না থাকলে আমরা বসে থেকে কি করবো। আমাদের ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে বসার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কাঁচামালের আড়তদাররা আমাদের বসতে দেয় না। আমরা বাধ্য হয়ে বাজারে বসেছি।
পালবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা সরফুদ্দিন মাষ্টার জানান, আমরা চাই পৌর ঈদগাহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার বসুক। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঝড়-তুফান বৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের স্থাপনা নষ্ট হয়ে গেছে। লোধ-কাদার কারণে বাজারে ক্রেতা সমাগম কম।
এদিকে পৌর ঈদগাহে বাজার চলাকালীন সময়ে চাঁদপুর পৌরসভা ও পালবাজার ইজারাদার কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেছেন মাছ ও কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যপারে জেলা মার্কেটিং অফিসার এন এম রেজাউল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারনে মাছ ও কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ীরা খোলা মাঠে বসতে চাচ্ছে না। আবহাওয়া ঠিক হয়ে আসলে তাদের পুনরায় খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা মনিটরিং করছি যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে।
উলে­খ্য গত ১ সপ্তাহ আগে শহরের পালবাজার, বিপণীবাগ বাজার, ওয়্যারলেছ বাজার, বাবুরহাট বাজার এবং নতুনবাজারের কাঁচামালের বাজার সংলগ্ন বড় মাঠে খোলা স্থানে চালু করা হয়। বাজারগুলো যথাক্রমে ঈদগাহ ময়দান, চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠ, চাঁদপুর সেতুর দুই পাশের সড়ক, বাবুরহাট কলেজ মাঠ এবং নতুনবাজার বড় মাঠে পণ্য সামগ্রী বেচাকেনা শুরু করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply