করোনা ডেডিকেটেড চাঁদপুর সদর হাসপতালে অক্সিজেন সংকট

ইব্রাহিম রনি :
করোনা ডেডিকেটেড চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগী কয়েকগুণ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। ঈদের আগের দিন থেকেই এ সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শনিবার এ হাসপাতালের আইসোলেশনে প্রায় ৮ ঘন্টার ব্যবধানে মারা গেছেন ৫ জন।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিব উল করিম বলেন, অক্সিজেন সংকট তেমন বেশি না, মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। শনিবার এ হাসপাতালে ১৪৮ জন আইসোলেশনে ছিলেন। ঈদের আগের দিন থেকে অনেকটা জোয়ারের মতো রোগী বাড়ছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ জুলাই থেকে আবুল খায়ের গ্রæপ অক্সিজেন দিচ্ছে। এছাড়া কুমিল্লা থেকে প্রতিদিনই অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করে আনা হচ্ছে। এরপরও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। অক্সিজেন সংকট কিছু সময়ের জন্য হলেও তা অতো বেশি না। হাসপাতালে বর্তমানে ২৪০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। যার মধ্যে ১৮০টি বড় এবং ৬০টি ছোট সিলিন্ডার।
তিনি বলেন, স্প্রেকট্রার মাধ্যমে নির্মিত সদর হাসপাতালের অক্সিজেন প্লান্ট পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে লিকুইড অক্সিজেন আসতে দেরি হওয়ার কারণে তা চালু করা যাচ্ছে না। সারাদেশের ৩০টি লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টই এখনো চালু করা যায় নি। অক্সিজেন পেলে এগুলো চালু হবে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, রোগী যে হারে বাড়ছে, তাতে এখন অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা হাসপাতালে করোনা বেড থাকা সত্তে¡ও সেসব এলাকার রোগিরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালমুখি হচ্ছেন। সদর হাসপাতালে মাঝে মাঝে অক্সিজেন কমে যায়। অনেক সময় সিলিন্ডার খালি হয়ে যায়। রাতে কিছুটা সংকট মাঝে মাঝে দেখা দেয়। আবার রিফিল করলে ঠিক হয়ে যায়।
তিনি বলেন, নবনির্মিত লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট চালু হয়ে গেলে এ সমস্যা কেটে যাবে। আগামী রোববারের মধ্যেই যে কোন দিন অক্সিজেন প্লান্ট চালু হয়ে যাবে বলে নির্মাতারা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একটা সিলিন্ডার তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।
সিভিল সার্জন জানান, চাঁদপুরে করোনা পরিস্থিতি দিনদিনই অবনতি হচ্ছে। গড়ে এখন ৩শ’ এর উপরে সেম্পল নেয়া হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫ জন হাসপাতালে মারা গেছেন করোনায়। এ যাবৎ জেলায় ৭ হাজার ৯ শ ৫৭ জন আক্রান্ত। টেস্টে আক্রান্তের হার এ কদিনই ৪৫ থেকে ৫৫ শতাংশ। জেলার ভেতরে মারা যাওয়ার সংখ্যা এ পর্যন্ত ১৫৪ জন। তাছাড়া চাঁদপুরে বাড়ি ঢাকা বা অন্য কোথায়ও মারা গেছেন, এমন আরো ১৯৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। সেই হিসাবে জেলার অধিবাসী ৩৪৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply