কোটিপতি স্বাস্থ্য সহকারী শাহজালালের বিরুদ্ধে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন

কামরুজ্জামান হারুন :
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের চিঠির বরাতে দেখা যায় বড় মরাদোনে কর্মরত কোটিপতি স্বাস্থ্য সহকারী ঠিকাদার শাহ জালালের বর্তমান কর্মস্থল গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিক।
সরেজমিনে ২৯ এপ্রিল (গতকাল) বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় কৃষ্ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে ক্লিনিক তালাবন্ধ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় গৃহিনী আমেনা আক্তার, বজলুর রশিদ’সহ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা এই কমিউনিটি ক্লিনিকে পুরুষ ষ্টাফদের মধ্যে মিজানুর রহমানকে দেখলেও অন্য কোনো পুরুষ চিকিৎসক বা ষ্টাফ আছে বলে জানেনা। তারা এখানে পুরুষ স্বাস্থ্য সহকারী বা চিকিৎসকদের মধ্যে মিজানুর রহমানকেই চিনেন।
এ ব্যাপারে কৃষ্ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সভাপতি, কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ও গজরা ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপি) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হানিফ দর্জি জানান, স্বাস্থ্য সহকারী শাহ জালাল আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে ছিলেন না। তবে, গত ৪ দিন পূর্বে সে আমাকে মোবাইল ফোনে জানায়, ভাই আমি এখন থেকে আপনাদের কৃষ্ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে ডিউটি করি।
এর আগে তো, এতোদিন আপনি এখানে ছিলেন না? এ প্রশ্নের জবাবে শাহ জালাল জানায়, আমি মৌখিক অর্ডারে বড় মরাদোন কমিউনিটি ক্লিনিক ছিলাম। এখন থেকে এখানেই কাজ করবো।
গজরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এবং কৃষ্ণপুর গ্রামেরই বাসিন্দা কবির হোসেন খান জানায়, আমি কৃষ্ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত যাই। গত রোববার গিয়ে দেখি একজন ষ্টাফ নতুন।
আমি তাকে চিনিনা। কথা বলে জানতে পারলাম তার নাম শাহ জালাল। সে কৃষ্ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করে। আমি এর আগে তাকে এখানে কখনোই তাকে দেখিনাই বললে সে (শাহজালাল) জানায়, মৌখিক ভাবে আমি বড় মরাদোন কমিউনিটি ক্লিনিকে ছিলাম এখন থেকে এখানেই কাজ করবো।
মতলবে স্বাস্থ্য সহকারী শাহজালাল ৬ মাস কর্মস্থলে না গিয়ে বেতন ভোগ করেন। ঠিকাদারী নিয়ে ব্যস্ত। এ বিষয়ে ২৬ এপ্রিল জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায় থেকে একটি এবং চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দু’টি তদন্ত কমিটির রিপোর্টই আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply