চাঁদপুরে অনিয়মের অভিযোগে নৌ-ফাঁড়ির দুই এএসআই তাৎক্ষণিক বদলি

আশিক বিন রহীম :
নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা শিকারী জেলেদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগের একদিন পরই চাঁদপুরে দায়িত্বরত নৌপুলিশের দুই এএসআইকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। বদলিকৃতরা হচ্ছেন : সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর আলুবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মহসিন ও মইনুদ্দিন। রবিবার মহসিনকে কুমিল্লার চার্লিভাঙ্গা এবং মইনুদ্দিনকে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, জেলেদের কাছ থেকে বিকাশে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে এ অভিযোগ আমি পাই। এরপর রবিবার থেকেই আমরা অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছি যা এখনো তদন্তনাধীন।
তিনি বলেন, তাদেরকে যে বদলি করা হয়েছে এটি আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। তাদেরকে রবিবার আমার অঞ্চলেরই অন্য ফাড়িতে বদলি করা হয়েছে। আবার ওখান থেকে দু’জনকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
নৌপুলিশ সুপার বলেন, অভয়াশ্রম চলাকালীন সময়ে জাটকা রক্ষায় নৌ পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা দেখিয়ে জাটকা জাল ও জেলে আটক করেছে। কাজ করতে গিয়ে নৌ-পুলিশের কোন পুলিশ কর্মকর্তা দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকলে তাদেরকে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, আলুর বাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অভিযুক্ত দুই এএসআই মহসিন ও মাইনুদ্দিন আইন বহির্ভূতভাবে হরিনা নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় প্রবেশ করে নদীতে জেলেদের আটকের পর আর্থিক লেনদেন করে। গত শনিবার রাতে চান্দ্রা ইউনিয়নের আখন ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে কাচকি মাছ ধরার সময় নয় জেলেকে আটক করে আলু বাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মাইনুদ্দিন। এদের মধ্যে মনির নামের এক জেলেকে ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম খানের সুপারিশে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এছাড়া ৮ জেলের কাছ থেকে স্পিডবোর্টের ড্রাইভার বসু খানের ছেলে কাদিরের মোবাইলে বিকাশ এর মাধ্যমে লেনদেন করার ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত দুই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply