চাঁদপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯ জন। বর্তমানে জেলায় নমুনা পরীক্ষার প্রায় ১৫ শতাংশ রিপোর্টই পজেটিভ আসছে। এ কারণে চাঁদপুরকে উচ্চ ঝুকির জেলা হিসেবে বিবেচনা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে এবং অবশ্যই মাস্ক পড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সর্বশেষ ১৬ জুন বুধবার ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৭ জন, ফরিদগঞ্জে ৪ জন, মতলব দক্ষিণে ২ জন, শাহরাস্তিতে ৪ জন, হাজীগঞ্জে ১ জন এবং লক্ষ্মীপুরে ১ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৯ জন। এছাড়া বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১২৩ জন। ১৬ জুন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬১৪ জন। এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ১৬ জুন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ২৩২৯ জন, হাইমচরে ২৪৯ জন, মতলব উত্তরে ২৯৭ জন, মতলব দক্ষিণে ৪৪৯ জন, ফরিদগঞ্জে ৫৬৩ জন, হাজীগঞ্জে ৫০০ জন, কচুয়ায় ১৭২ জন এবং শাহরাস্তিতে ৪৪৯ জন।
মৃত ১২৩ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৭ জন, ফরিদগঞ্জে ১৮ জন, হাজীগঞ্জে ২১ জন, শাহরাস্তিতে ৯ জন, কচুয়ায় ৭ জন, মতলব উত্তরে ১১ জন, মতলব দক্ষিণে ৬ জন, হাইমচরে ৩ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এ পর্যন্ত জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৬১৯ জনের, রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৩০ হাজার ৫২৮ জনের। এর মধ্যে পজেটিভ ৪ হাজার ৯৭১ জন আর নেগেটিভ ২৫ হাজার ৫৫৭ জনের রিপোর্ট। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৫৩ জন। এদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালের আইসোলেশনে এবং ২৩৭ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণের হার এখন ১৫ শতাংশের মতো। ১০ শতাংশ বা ১০ শতাংশের কম থাকলে কম ঝুঁকি এবং ১০ শতাংশের উপরে থাকলেই আমরা বেশি ঝুঁকি মনে করি। তাই করোনা সংক্রমণরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে।