চাঁদপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে হার্ডলাইনে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের বিধি-নিষেশ বাস্তবায়নে আবারও হার্ডলাইনে জেলা প্রশাসন। গত ৯ এপ্রিল লকডাউন ঘোষনার পর বেশ কিছু দিন রাস্তায় যান চলাচল অত্যন্ত কম হলেও গত কয়েকদিন ধরে কিছুটা পাল্টে যায় চিত্র। এরই মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট-দোকানপাট খোলার সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল মার্কেট, দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আগের মতোই বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। আর এর পর দিনই লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ বিভাগ। অন্যান্য দিনের মতো মাঠে কর্মতৎপর ছিল সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
এদিকে রোববার (১০ মে) চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এর নেতৃত্বে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামেন বেশ কয়েকজন ভলান্টিয়ার।
এই টীম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে দুপুর ১২টার থেকে ২টা পর্যন্ত শহরে কাজ শুরু করেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড, ইলিশ চত্বর, আবদুল করিম পাটওয়ারী সড়ক, বিপনীবাগ, সরকারি কলেজের সামনে, চিত্রলেখার মোড়, হাজী মহসীন রোড ও সর্বশেষ ছায়াবানীর মোড় মাতৃপীঠ স্কুলের সামনে এসে অভিযান শেষ হয়।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল­াহ আল মাহমুদ বলেন, আমার সাহসী ভলান্টিয়ারদের নিয়ে সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নামলাম। যদিও মাঠের অবস্থা দেখে, মানুষের প্রয়োজনে এমনকি অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে আসার প্রবণতা দেখে কিছুটা হতাশ, তথাপি আমরা জনগনের স্বার্থে মাঠে থাকব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের সাথে আরো অংশ নেন জেলা প্রশাসনের তিনজন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম, আজিজুন্নাহার, অলিদুজ্জামানের নেতৃত্বে তিনটি মোবাইল কোর্ট ও ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দ। মোবাইল কোর্টে ২৫টি মামলায় ২৫ জনকে মোট ১০ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। আশার সংবাদ হচ্ছে- চাঁদপুরে কোন শপিং সেন্টার খোলেনি।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর জেলায় করোনা ভাইরাসে এই পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮জন। মারা গেছেন ৪জন। সুস্থ্য হয়েছেন ১১জন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply