ঝুঁকিপূর্ণ মোলহেডে রেলের ভারী স্থাপনা না নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের চাঁদপুর বড় ষ্টেশন পদ্মা মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলনস্থল ঝুঁকিপূর্ণ মোলহেডকে ঘিরে রেলের কোন ভারী স্থাপনা না করা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এলাকাটিতে নির্মিত স্বাধীনতার ভাস্কর্য রক্তধারা সংরক্ষণ, ইলিশের ম্যুরাল স্থাপনা, বঙ্গবন্ধুর নামে পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা সংরক্ষণ করার দাবি রেখেছে চাঁদপুরের সাংবাদিকরা। এই দাবিতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের মাধ্যমে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ এই অনুরোধে একটি লিখিত দাবি নিয়ে রেলসচিব বরাবরে একটি চিঠি প্রদান করেছে। বেলা সাড়ে ১২ টায় সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকের হাতে এই চিঠি তুলে দেন।
চিঠিতে সাংবাদিকরা উল্লেখ করেন, বিশ্বস্ত একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ২ দশক আগে ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর রেল বড় ষ্টেশন যেটি বৃটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল, পূর্বের লঞ্চ টার্মিনাল সহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া বালু দিয়ে ভরাট করা জায়গাটিতেই আধুনিক রেল ষ্টেশন নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে, যা রেলের এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কারণ ব্লকবেষ্টিত শহর রক্ষা বাধের এই এলাকায় কোন ভাবেই নতুন কোন ভারী স্থাপনা কোনভাবেই টিকবে না! এছাড়া ঐ জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে পর্যটন অন্চল। তৈরি হয়েছে রক্তধারা, চাঁদপুরের ঐতিহ্যের প্রতীক ইলিশের সৌন্দর্যমন্ডিত ম্যুরাল। আছে জাতির পিতার নামীয় বঙ্গবন্ধু পার্ক। এছাড়া এই জায়গাটি ১৯৭১ সালের জেলার একটি অন্যতম বধ্যভূমি হিসাবেও চিন্হিত। এটি রেলের জায়গা হলেও এটি গত ২৫ বছরই সংরক্ষণ ও দেখভাল করে আসছে জেলা প্রশাসন, ও চাঁদপুর পৌরসভা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড।
হঠাৎ করে এসব স্থাপনা ভেঙ্গে বা সরিয়ে সেখানে নতুন করে ভারী স্থাপনা তৈরি করলে রেলের কয়েক শ কোটি টাকা খুব অল্প সময়ে নদীগর্ভে বিলীন হবে বলে সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, বয়বসায়ী, সুশীল সমাজ, সাধারণ নাগরিক, পর্যটক জনপ্রিতিনিধিসহ সবাই অসন্তোষ প্রকাশ করছে। সাংবাদিকরা ছাড়াও রেলমন্ত্রী, সচিব, স্থানীয় এমপিসহ সবার কাছে এসব দাবি রেখে আসছে।
প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ জানান, বিষয়টি তারা লিখিতভাবে রেলমন্ত্রী মহোদয়কেও অবহিত করবেন। জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশ সাংবাদিকদের জানান, তিনি এ দাবি সম্বলিত চিঠিটি তিনি সচিব মহোদয়কে পাঠাবেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সহসভাপতি এইচএম আহসান উল্লাহ, সহসভাপতি লক্ষন চন্দ্র সূত্রধর, সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, কার্যনির্বাহী সদস্য মোশাররফ হোসেন লিটন, সদস্য শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply