দখল আর বর্জ্যের কবেল খাল, পানি প্রবাহ বন্ধে বিপাকে কৃষক
কামরুজ্জামান হারুন :
ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় ছেংগারচর বাজার-কালিপুর পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালটি কৃষকের জন্য মরণ ফাঁদ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছেংগার চর বাজার এলাকায় খালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। জায়গা দখল করে খালটি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হতে পারে না।
এতে প্রতি বছরই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানান, এ খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হতে না পারায় প্রতি বছরই ছেংগারচর, কেশাইরকান্দি, আদুরভিটি, হানির পাড়, কলাকান্দা, শিকিরচর, পালালোকদি, মিলারচর, জোরখালী এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষকদের ধারণা চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁরা জানান, জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদী থাকবে জমি।
ছেংগারচর বাজারের ব্যবসায়ী আলা উদ্দিন জানান, ছেংগারচর বাজার এলাকা দিয়ে খালটি একে বারে বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি সড়তে পারছে না। এ বিষয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
বালুচর গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন (৫৫) জানান, ছেংগারচর বাজার হতে কালীপুর পর্যন্ত খালে ময়লা আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। ফলে
জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকের ভোগান্তির শেষ নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় খাল গুলো ভরাট হয়ে গেছে।পানি চলাচল করতে পারছে না। জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা না নিলে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)গাজী শরিফুল হাসান বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে দেখার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করছি। এ খালটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনা এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন,খালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। এছাড়াও বেশিরভাগ জায়গা বেদখল হচ্ছে।তাই জরুরী ভিত্তিতে খালটি সংস্কারের ব্যবস্থা না করলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, খাল গুলো সংস্কারের ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।এ খালটি দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে পানি প্রবাহ সচল রাখতে খালটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। তা না হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে কৃষকের মারাত্মক ক্ষতি হবে।