দেশের সকল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই এখন উচ্চশিক্ষার জন্য সমান সুযোগ পাবে : শিক্ষামন্ত্রী

ইব্রাহীম রনি :
সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, এখন যে প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিয়েছেন সেটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে আমাদের সকল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই এখন উচ্চ শিক্ষার জন্য সমান সুযোগ পাবে।
গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সংসদ বক্তব্যকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এখন চেষ্টা করছি সকল পর্যায়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা। আমরা মডিউলার শিক্ষার দিকেও এখন নজর দিচ্ছি। কারণ, দ্রুত পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে আজকে আমরা যে ডিগ্রিটি অর্জন করবো ৫ বছর পর সেটি কাজে হয়তো সেভাবে নাও লাগতে পারে। একজন শিক্ষার্থী যে কাজে নিয়োজিত হয়ে গেছে তার পক্ষে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আমরা এখন যে অনলাইন চালু করেছি তা কভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আমরা ব্ল্যান্ডেড এডুকেশনে যাবে। যেখানে ক্লাস হবে এবং অনলাইন এডুকেশন উভয়ই চালু থাকবে। যেসব শিক্ষার্থী কর্মে নিয়োজিত থাকবেন তারা অনলাইনে এডুকেশন গ্রহণ করতে পারবেন। সেখানে পুরো একটি ডিগ্রি করার প্রয়োজন হবে না। যে দক্ষতাটুকু প্রয়োজন। একেকটি ডিগ্রিকে ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন মডিউল হিসেবে শিক্ষাদান করা হবে। আমরা এসব নানা উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, আমাদের গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন এবং সে অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে। একই সাথে বিভিন্ন দেশে কিন্তু সরকার শিক্ষা গবেষণার জন্য কিন্তু অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। সেখানে শিক্ষকরা নিজেরা গবেষণা করেন এবং সে গবেষণা দিয়ে তারা বিভিন্ন ফান্ডিং যোগাড় করেন। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের শিক্ষকদেরকে উৎসাহিত করছি। মান সম্মত প্রকাশনার ক্ষেত্রেও আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ইনস্টিটিউট স্থাপন, শিক্ষক নিয়োগে মান নিয়ে যেন কোন প্রশ্ন না উঠে সেজন্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম নির্দেশিকা, সমন্বিত পরীক্ষা ব্যবস্থা করা। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে যারা আর্থিকভাবে যেসব সমস্যায় আছেন সেসব শিক্ষার্থীরা যেন সারা দেশে ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা দিয়ে অর্থকষ্টে পড়তে না হয়, তারা যেন একটি বা দু’টি পরীক্ষা দিয়েই যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেতে পারে এ বিষয়গুলো আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- শিখতে শেখানো। এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে আমার শিখতেই শেখ- এটিই এখন মূল লক্ষ্য। কারণ, আমার বার বার যা শিখতে হবে যখন সেটি যেন আমি শিখে নিতে পারি। তার অর্থ আমার এখন জীবনব্যাপী শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আনন্দময় করতে চাই। সেখানে শুধুমাত্র মুখস্ত বিদ্যা নয়, সেটি আমরা একেবারে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করেছি এবং সেটি যেন সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে যে সমস্যাগুলো ছিল তা এখন আমরা দূর করছি। আমাদের জ্ঞানার্জনের সাথে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সঠিক মানষিকতা গড়ে দিতে হবে। আমরা সবদিকেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা একজন শিক্ষাবান্ধব রাষ্ট্রনায়ক। তার সময়ে শিক্ষার যে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে তা আজকে সকল ক্ষেত্রেই প্রশংসিত। কাজেই আমরা তার নেতৃত্বে এই শিক্ষাক্ষেত্রে একেবারেই প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই আমরা মানোন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply