পুরাণবাজারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুরে এলাকায় উত্তেজনা

যাকাতের ১ হাজার পিস শাড়ি কাপড় লুটের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর ছবিসহ অন্যান্য ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করেছে। গতকাল ৩০ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পূর্ব জাফরাবাদ এলাকার সামু গাজী সড়কের পাশে অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুরানবাজার ফাঁড়ি পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনছেন। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ হাসান জানান, আমরা জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলাম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী আমার দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। তারা কার্যালয়ের ভেতরে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা যাকাতের জন্য রাখা ১ হাজার পিস শাড়ী কাপড়, ৩২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশনসহ অন্যান্য মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে ফেলে রাখে।
তিনি আরো জানন, কিছুদিন আগে জাফরাবাদ এলাকায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় আমাদের বাড়ির দুই জনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামী করা হয়েছে। বাদীপক্ষ ওই মামলা থেকে আসামীদের নাম কেটে দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। মূলত সেই টাকা না দেওয়ায় মামলার বাদী সাজু গাজীর ছেলে মুকবুল, শুকুর, সিয়াম, নানু গাজীর ছেলে হাবিব গাজী, বাচ্চু গাজীর ছেলে শান্ত গাজী, বাচ্ছু খার ছেলে রাসেল খান সহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনার আগের দিন এবং আজকে সকালেও তারা নানাভাবে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। যারা দলীয় কার্যালয়ে এই ভাংচুর করেছে আমরা তাদের শাস্তি দাবি করছি।
৩নং আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজ বেপারী বলেন, এটি ওয়ার্ডের সেক্রেটারির অস্থায়ী একটি কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখানে নির্বাচনের সময় নির্বাচনী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হতো। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি সঠিক তদন্ত করে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন তিনি।
পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে ঘটনাটি কি ঘটেছিলো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply