পুরাণবাজারে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, মরদেহ রেখে স্বামী উধাও

আশিক বিন রহিম :
চাঁদপুরে আছমা বেগম নামের গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামী তাজু গাজী। গতকাল ২৮ জুন সোমবার সকালে শহরের পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদীতে এ ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের দাবি আছমা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আছমা বেগমের ভাই মো. রাজু মিজি চাঁদপুর জানায়, আমার বোনের সাথে তাজু গাজীর ২৮ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। আমার বোনের ঘরে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে।
আমার বড় ভাগিনা তুষার বিদেশ থেকে কিছু দিন হলো দেশে এসেছে। আমার বোন জামাই তাজু গাজী ২/৩ বছর হল আরেকটি বিয়ে করে।
এ নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। আমার বোনকে বেশ কয়েকবার মারধর ধরছে, তখন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাও হয়েছিলো।
স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়েছে। সালিশে ২য় স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাজু গাজী আমার বোন আছমা বেগমের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে ২য় স্ত্রীকে তালাক দেয়। কিছুদিন যেতে না যেতে তাজু গাজী পুনরায় আবারো ২য় স্ত্রীকে নিয়ে নতুন বাজার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে।
গত দু’দিন আগে ২য় স্ত্রীকে বাড়িতে আনবে বলে ঝগড়া করে বড় ছেলে তুষার ও ছোট ছেলে টিপুকে বাড়ি বের করে দেয় তাজু গাজী।
২৮ জুন সোমবার সকালে খবর পাই আমার বোন অসুস্থ। বাড়িতে গিয়ে আমার বোন আছমা বেগমকে নিয়ে প্রথমে প্রিমিয়াম হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মেয়ে তামান্না জানায়, রোববার রাতে আব্বা মার সাথে ঝগড়া করে। আমরা ভয়ে কেউ ভয়ে কাছে যাই নি।
ছোট ছেলে মো. টিপু জানান, আমার বাবা ২য় বিয়ে করে। আমাদের শান্তির ঘরে অশান্তি করতে থাকে। আমাদের কাছ থেকে দেড়লাখ টাকা নিয়ে ২য় স্ত্রীকে ছেড়ে দিবে বলেন। এখন আবার নতুন বাজার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে।
গত দু’দিন ২য় স্ত্রীকে বাড়িতে আনবে বলে ঝগড়া করে আমাকে ও বড় ভাই তুষারকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার মাকে আমার বাবা বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে। আমরা এর বিচার চাই।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ডা. নূর হোসাইন পান্না জানান, সোমবার দুপুর ১টায় আছমা বেগম নামের একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। পরিবারের লোকজন ধারণা করছেন বিষ খাওয়ানো হয়েছে।
মডেল থানার এসআই নাছির উদ্দিন লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply