মতলবের সিপাইকান্দি ও ঠেটালীয়া গ্রাম ধনাগোদা নদী ভাঙনের কবলে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সিপাই কান্দি ও ঠেটালীয়া গ্রাম ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গনের কবলে। সিপাই কান্দি ও ঠেটালীয়া গ্রামের অসংখ্য বিটা, বসত বাড়ি ও আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যে অংশ টুকু এখনও আছে সেটি রক্ষা করার জন্য গত ২০১৯ ও ২০২০ অর্থ বছরে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড মোঃ নুরুল আমিন রুহুল একে একে তিন বার পরিদর্শনে করেন। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নিবার্হী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, মেঘনা ধনাগোদা পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তি যোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক সরকার মোঃ আলাউদ্দিন সহ আর ও অন্যান্য কর্মকর্তাগন সরজমিন পরিদর্শন করেন। তার পর এমপি নুরুল আমিন রুহুলের আমন্ত্রণে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বেড়ীবাঁধের চতূর দিক নদী ভাঙ্গন স্পটগুলি পরিদর্শন করে বাঁধ ও গ্রাম নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষের জরুরী নির্দেশ প্রদান করেন। এর পর ২০১৯ ও ২০২০ অর্থ বছরে সিপাই কান্দি ও ঠেটালীয়া গ্রাম রক্ষায় বড় আকারের বালি বর্তি জিও ব্যাগ নদীতে নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে ২০২১ এর চলতি মৌসুমে আবার ও ৩/৪ টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। গত একমাস পূর্বে ঐ এলাকার ৩/৪ টি স্থানে প্রায় ২০০ ফুট জায়গা নদী গর্ভে দেবে যায়। আজ ২রা মে সকাল ভোরে প্রায় ৬০/৭০ ফিট জায়গা সিপাই কান্দি মিজি বাড়ির সামনে দেবে যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, যে সমস্ত জায়গা বস্তা কম ফেলা হয়েছে, সে সমস্ত জায়গায় আবার ও নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গ্রামবাসী।