মতলব উত্তরে হত্যার পর লেকে ফেলে দেয়া হলো যুবকের লাশ

কামরুজ্জামান হারুন :
গভীর রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ওয়াসিম (৩২) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ ফেলে দেয়া হয় লেকে।
সোমবার দিবাগত রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার নয়াকান্দি শিকিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেছে।
হত্যার শিকার যুবকের স্বজনরা জানান, ট্রলি চালক ওয়াসিমকে তার চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান বেপারী মুঠোফোনে ডেকে নেয় কথা বলার জন্য। এরপর আর ওয়াসিম ঘরে ফিরেনি। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় ওয়াসিমের খোঁজ। এক পর্যায়ে মিজানের ঘরের পাশে মেঝেতে লেগে থাকা রক্ত দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে মিজানের ঘরের পাশেই ওয়াপদা লেকের পানিতে লাশের সন্ধান পায় স্বজনরা।
খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান কামাল, এসআই আফসার উদ্দিন সংগীয় ফোর্স গিয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার জানান, রাতে ওয়াসিম ঘরেই ছিল। রাত আনুমানিক ১২টার পর তার ফোনে কল আসে। সে (ওয়াসিম) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় জানতে চাইলে বলে মিজান ভাই আমাকে ফোন দিছে। কথা শোনার জন্য। এর কিছুক্ষণ পর ওয়াসিমের নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। সারা রাতেও তিনি ঘরে ফিরেনি। সকালে মিজানের ঘরের সামনে রক্ত দেখে ওয়াসিমকে খুঁজতে নামি। মিজানের ঘরের পাশেই ওয়াপদা লেকে ওয়াসিমের লাশ খুঁজে পাই।
তিনি আরও বলেন, আমার বিয়ের পর থেকেই মিজানদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দেখছি। তারা আমার স্বামী ওয়াসিমকে কয়েকবার মারধরও করেছিল।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করি। ওয়াসিমকে পরিকল্পিতভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর ওয়াপদা লেকের পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিনকে বাদি করে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতকদের আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply