লিকুইড অক্সিজেন রিজার্ভ রাখতে চাঁদপুরে বসানো হচ্ছে প্ল্যান্ট

চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
চাঁদপুরে এবার বসানো হচ্ছে রিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট। এটিতে লিকুইট অক্সিজেন সংরক্ষণ করা হবে। একবার এটি অক্সিজেন ভর্তি করা হলে ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের অক্সিজেনের চাহিদা মেটাবে কয়েক মাস। এছাড়া এটির সেবা শুরু হলে কুমিল্লা থেকে সপ্তাহে কয়েকবার লিকুইড অক্সিজেন আনার ঝামেলা কমবে। কমবে খরচও।
২৫০ শয্যা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্ল্যান্টটি বসানোর কাজে অর্থায়ন করছে ইউনাইটেড ন্যাশন ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ইমার্জেন্সি ফান্ড (ইউনিসেফ) এবং বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্ল্যান্ট বসানোর কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী কামাল বলেন, চাঁদপুরসহ দেশের প্রায় ৩০টি জেলায় ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলি লিটারের ধারণ ক্ষমতার লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। মূল প্ল্যান্টটি হচ্ছে ৬ হাজার লিটারের। এটি যখন অক্সিজেনে রূপান্তর হয় তখন ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলিলিটারে রূপান্তর হয়। এটির কাজ সম্পন্ন হলে চাঁদপুরের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো সময় লিকুইড অক্সিজেন পাওয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, এই প্ল্যান্ট স্থাপনের সময়সীমা হচ্ছে ৬০ দিন। কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এটি স্থাপন করা সম্ভব হবে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হাবিব উল করিম বলেন, লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন চাঁদপুরবাসীর জন্য একটি সুখবর। বর্তমানে আমরা কুমিল্লা থেকে চাঁদপুরে চাহিদা অনুযায়ী একদিন পরপরই সিলিন্ডারে করে অক্সিজেন আনতে হচ্ছে। তাতে ভোগান্তি এবং খরচ দুটোই হচ্ছে। লিকুইড প্ল্যান্টটি স্থাপন হলে জেলার জন্য ৪-৫ মাসের অক্সিজেন মজুত করা যাবে।
তিনি বলেন, যেখানে অক্সিজেন উৎপন্ন হয় সেখান থেকে এনে এখানে লিকুইট অক্সিজেন রিজার্ভ করা হবে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, এখানে একটি লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক বসানো হচ্ছে। যাতে করে অনেক দিনের অক্সিজেন এটিতে রাখা যায়। এটি চালু হলে কুমিল্লা এক দিন পরপর থেকে সিলিন্ডারযোগে অক্সিজেন আনার ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে। আমাদের কোন অক্সিজেন সংকট হবে না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply