সাংবাদিক মিজান মালিক একজন কবি লেখক গীতিকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার ছাত্র মিজান মালিক একজন পেশাদার সাংবাদিক। শিল্প-সাহিত্যিক মহলে তিনি একজন গীতিকবি হিসেবে অনেক বেশি পরিচিত। তাঁর অসংখ্য গান দেশের বড় শিল্পীদের মুখে মুখে। গানের জন্য তিনি ২০০৬ সালে বাচসাসস পুরস্কারও পান। সাংবাদিকতায় রাষ্ট্রীয় পুরস্কারসহ রয়েছে অসংখ্য অর্জন। তাঁর মূলভাবনায় বেসরকারি টেলিভিশনে একাধিক নাটকও সম্প্রচারিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক দেশের সবচেয়ে বড় পুরস্কারটি পান ২০১৫ সালে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই পুরস্কার প্রদান করেন। একই বছর তিনি সেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ২০১২ সালে তিনি দুদকের প্রথম মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়াও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সেরা অর্জনের জন্য তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও ক্র্যাবসহ অনেকগুলো সংস্থা থেকে পুরস্কার অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি করলেও মূলত অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে তার তৃতীয় একটি নয়ন খুলে যায়। যা বলা যায় না বা অব্যক্ত থেকে যায়, এমন অসংখ্য ঘটনা তাঁর মনে রেখাপাত করে। মন কখনো ব্যথাতুর হয়ে ওঠে। সেইসব অদেখা, অজানা অনেক গল্প পাওয়া যায় মিজান মালিকের কবিতায়। প্রেম, দ্রোহ, বিষণ্নতা, অপ্রাপ্তির চিত্রও শৈল্পিকভাবে উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়।
‘গল্প ছাড়া মলাট’ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। তথ্যানুসন্ধানমূলক একটি গ্রন্থও রয়েছে তাঁর। টেলিভিশন ও পত্রিকাÑ দুই মাধ্যমে সাংবাদিকতায় রয়েছে তাঁর বেশ অভিজ্ঞতা। যমুনা টেলিভিশনের ‘থ্রি-সিক্সটি ডিগ্রি’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাঁর হাত ধরেই। তিনি দৈনিক যুগান্তরে ইনভেস্টিগেশন এডিটর ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
মিজান মালিক ১৯৭৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিকতা শুরু দৈনিক ভোরের কাগজ-এর মাধ্যমে। এরপর বাংলাবাজার পত্রিকা, মুক্তকণ্ঠ, মানবজমিন-এ বেশ কয়েক বছর কাজ করেন।
সাংবাদিক মিজান মালিককে দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে পত্রিকার লেখক সুহৃদ হিসেবে সম্মাননা জানাচ্ছে পত্রিকা পরিবার।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply