সারাদেশের ৫৯ জেলা রেলপথের নেটওয়ার্কভূক্ত হবে

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ পরিদর্শনকালে রেলপথ পরিদর্শক
: নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ রেলপথ পরিদর্শক (জিআইবিআর) অসীম কুমার তালুকদার বলেছেন, সরকারের অন্যান্য বিভাগের মত রেলওয়ে বিভাগও ব্যাপক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সবগুলো জেলাকে সরকার রেলের নেওয়ার্কের আওতাভুক্ত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের ৪৪টি জেলা নেটওয়ার্কভুক্ত হয়েছে। ২০৪৫ সালের মধ্যে আরো ১৫টি জেলা নেটওয়ার্কভুক্ত হবে। বাকী জেলাগুলো দেশ যখন আরও উন্নত হবে, সেগুলোও তখন আওতাভুক্ত হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথ পরিদর্শন শেষে চাঁদপুর স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে রেলওয়ের যে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, তাতে ২৩০ পরিকল্পনা ৪টি ধাপে বাস্তবায়ন হবে। আর এসব পরিকল্পনার জন্য সময় সীমা নির্ধারণ হয়েছে ২০৩০ থেকে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত। এসব কাজগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করার জন্য ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৫৫ হাজার কোটি টাকা।
চাঁদপুরের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ রেলপথ পরিদর্শক (জিআইবিআর) অসীম কুমার তালুকদার তার বক্তবে আরো বলেন, চাঁদপুরের অবৈধ স্থাপনা ও উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, চাঁদপুরে রেলের সংযোগ অনেক আগ থেকে। তবে লোকবল সংকট সারাদেশেই। আমাদের উচ্ছেদ অভিযান সব সময়ের জন্যই। তবে রেলে সম্পত্তি অবৈধ দকল থেকে উচ্ছেদের পরে ওই স্থানে গাছ লাগিয়ে দিয়ে সংরক্ষণ করছি। চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকা দখল সম্পর্কে বলেন,চাঁদপুরে আমাদের লোকবলের সমস্যা রয়েছে। এখানে ভ’মির দায়িত্বে রয়েছে,৩জন। ১জন কাননগো ও ২জন আমিন। এ দখল প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব পালন করলে তা’প্রতিরোধ করা সম্বব। তারা দায়িত্ব পালন করলে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠবেনা। বর্তমানে তাদের দায়িত্ব পালন করতে ক্ষমতা অপন করা হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে অংশ নেন,চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের আন্ত:জাতিক বিষয়ক সম্পাাদক মোহাম্মদ শওকত আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শাহাদাত হোসেন শান্ত,সাংবাদিক মো: মিজান লিটন,মো: মিজানুর রহমান ও বাদল মজুমদার।
তিনি বলেন, রেলওয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বাৎসরিক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে স্টেশন ভবন, রেলপথ, ব্রিজ ও যাত্রী সেবা সঠিকভাবে দেয়া হচ্ছে কিনা তা সরেজমিন দেখা হয়েয়েছে। পরবর্তীতে এসব স্থাপনা ও সেবা কার্যক্রমে ত্রুটিগুলো তুলে ধরে সামধান করার জন্য প্রতিবেদন দেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) তারেক শামস্ মো. তুশার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হানিফ, ডিসিও জাহিদ আরেফিন পাটওয়ারী তন্ময়, বিভাগীয় তড়িৎ প্রকৌশলী মো. শাকের আহম্মেদ, বিভাগীয় ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিম, সেতু প্রকৌশলী (পূর্ব) আবরার হোসনে, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মনির হোসেন, বিভাগীয় নিরাপত্তা কমান্ডেন্ট মো. শফিক মৃধা,সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো: সহিদুজ্জামান, ও উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কুমিল্লা) মো. লিয়াকত আলী মজুমদার, এস,এস,এ,ই সিগনাল লাকসাম মো: মহসিন মল্লিক, রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সারোয়াল আলম,চাঁদপুর রেলওয়ে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মো: সোহেব শিকদার,রেলওয়ের লাকসাম কাঁচারীর ভুমির দায়িত্বরত কাননগো মো: কাউছার আহমেদ, চাঁদপুর হেড বুকিং মো: ছালাম সরকার,সহকারী স্টেশন মাস্টার মো: নাজমুল হাসান, এ আই ও ডব্লিউ চাঁদপুর মো: আবুল কালাম আজাদ, চাঁদপুর স্টেশনে দায়িত্বরত চাঁদপুর নিরাপত্তা ইনচার্জ মো: খোরশেদ আলম, বিদ্যুৎ বিভাগের মো: আব্দুর মালেক, প্রমুখ।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে জিআইবিআর মটরট্রলিযোগে লাকসাম থেকে চাঁদপুর রেলপথের ১৪টি স্টেশন, রেলপথ, ব্রিজ ও যাত্রীসেবার মান পরিদর্শন করেন। যাত্রীদের প্রতিদিনের ব্যবহার করা স্টেশনের আসবাব পত্র,টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখেন। তিনি চাঁদপুরে এসে পৌঁছালে চাঁদপুর স্টেশনের কর্মকর্তা ও রেলওয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মো: মাহবুবুর রহমান নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply