সুন্দর-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা চাই

ইব্রাহীম রনি :
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১০ অক্টোবর শনিবার স্থগিত হওয়া চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল।
তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তে অবশ্যই চাঁদপুর পৌরবাসী অত্যন্ত খুশি। এটি সবার জন্য আকাক্সিক্ষত নির্বাচন। আমরা এ নির্বাচনকে সুন্দর এবং অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জল অধ্যায়ের সিঁড়ি বেয়ে পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন জিল্লুর রহমান জুয়েল। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও বিনয়ী স্বভাব তাকে আজ এতোদূর পর্যন্ত এনেছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু তাঁর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি। এখন তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, ক্রীড়া সম্পাদক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ শাখার প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, আলাওল হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ‘লিগ্যাল এইড এন্ড অ্যাসিস্টেন্টস’ উপ-কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থীর চীফ এজেন্ট, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ও ২১তম জাতীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের যেমনি রয়েছে সাংগঠনিক দক্ষতা, তেমনি গণমানুষের আস্থা অর্জনে তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে রয়েছে নানা গুণ। এই দুইয়ের সমন্বয়ে তিনি সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে যেমনি সফল হয়েছেন, তেমনি জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর জয়লাভে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন।
জিল্লুর রহমান জুয়েল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালেই ব্যাপক পরিচিতি পান। সময়টি ছিল বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়। তখন ছাত্র শিবিরের মিনি ক্যান্টনমেন্ট নামে খ্যাত ছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। আর ওই দুঃসময়ে নিজের জীবনকে বাজি রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রলীগকে চাঙ্গা রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে যেয়ে তাঁর জীবন একাধিকবার হুমকির মুখে পড়ে। শিবির ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলার মুখে তিনি মৃত্যুর হাত থেকেও একাধিকবার রক্ষা পেয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply