হাইমচরে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

হাইমচর প্রতিনিধি :
হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ড়ের শেখ কান্দির জুলহাস বকাউল এর স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীকে একই ইউনিয়নের চোকিদার কান্দির আক্কাছ আলী খানের ছেলে গৃহশিক্ষক আবুল কাশেম আলি (২৮) এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা পিতা জুলহাস বকাউল বাদী হয়ে ধর্ষক কাশেম আলী হুজরের বিরুদ্ধে হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে গৃহশিক্ষক কাশেম আলীর বাড়িতে জুলহাস বকাউলে মেয়ে প্রাইভেট পড়তে গেলে তাকে জোরপূর্বক শারীরিক নির্যাতন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের জুলহাস বকাউলের ৭ বছরের মেয়ে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী সরকারের ঘোষিত সময়ে করোনা ভাইরাসের কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় পাশের গ্রামে তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে থেকেই পড়াশুনা করতেছিল। এই বন্ধের কারনে লেখাপড়া খারাপ হয়ে যাবে বলে চিন্তা করে মেয়েটিকে তার নানার বাড়ির পাশের বাড়িতে কাশেম আলি হুজুরের কাছে প্রাইভেট পড়াতে দেন। তার সাথে আশেপাশের আরো কয়েজন ছাত্র-ছাত্রী পড়ে। এভাবে প্রায় ১ মাস কাশেম আলীর কাছে প্রাইভেট পড়তে থাকে। প্রতিদিনের মতো মেয়েটি হুজুরের কাছে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়তো। ঘটনার দিন হুজুরের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকার সুযোগে ছাত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা জুলহাস বকাউল বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় আমার মেয়ে তার নানার বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে তার লেখাপড়ায় যাতে ক্ষতি না হয়, সেজন্য তার নানার বাড়ির পাশের বাড়িতে কাশেম আলী হুজুরের কাছে প্রাইভেট পড়াতে দিয়েছি। বুধবার কাশেম আলী হুজুর সবাইকে ছুটি দিয়ে আমার মেয়েকে খাটে বসিয়ে রাখেন। আমার মেয়ে হুজুরকে জিজ্ঞেসা করে আমাকে কেনো বসিয়ে রাখছেন, হুজুর বলেন, তোমার আরো পড়ার বাকি আছে। তারপর হুজুর তার ঘরের দরজা বন্ধ করে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় এবং তাকে জোরপূর্বক শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। আমার মেয়ে লজ্জায় কাউকে বলতে না পারায় তার দেরিতে আসায় সন্দেহ হয়। এ ঘটনার কথা কাউকে না বলতে হুজুর আমার মেয়েকে হুমকি দেয় এবং মেয়েকে মেরে নদীতে ফেলে দিবে। আমি এ ঘটনা শুনার পর স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের সহায়তায় কাশেম হুজুরের কাছে ঘটনার সততা যাচাইয়ের জন্য গেলে হুজুর নিজ মুখে স্বীকার করেন। আমি প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ের ইজ্জতের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোঃ বাচ্চু মিয়া সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনেছি, উভয়পক্ষকে বসার জন্য বলছিলাম। এক পক্ষ আসছে অপর পক্ষ আসেনি। তাই অভিযোগকারীদের থানায় অভিযোগ করার জন্য বলেছি। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply