হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে মৃতের মরদেহ পড়ে রইলো ১২ ঘন্টা, আসেননি জনপ্রতিনিধিও

অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে দাফন সম্পন্ন
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মজিবুর রহমানের মরদেহ দাফনে এগিয়ে আসেনি স্থানীয় কেউ। দীর্ঘ ১২ ঘন্টা তার মরদেহ পড়ে থাকার পর অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনের তত্ত¡বধানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামে মজিবুর রহমান নামে (৭০) বছরের বৃদ্ধ মারা যান।
হাজীগঞ্জের বলিয়া গ্রামের নিহত মজিবুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন মুঠো ফোনে জানান, আমার বাবা কয়েকদিন দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ আরো নানান রোগে ভূগছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় মারা যান। এলাকার কোন লোকই আমাদের সহযোগিতা করেনি বরং সবাই পালিয়ে যায়। পরে অ্যাডিশনাল সুপার আফাজাল স্যারের সাথে যোগাযোগ করি। স্যার নিজেই এসে উপজেলা দাফন-কাফন কমিটির সহযোগিায় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় দাফন সম্পন্ন করি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন জানান, হাজীগঞ্জের বলিয়ায় মৃত মজিবুর রহমানের মারা যান গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে। আর দাফন করা হয়েছে ১২ ঘন্টা পর বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার পরে। মৃতদেহ রাতে বাড়িতে পড়ে থাকলেও এলাকার কোন জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসেনি। ভোরে আমি নিজে গিয়ে তাদেরকে ফোন করি। তবুও তারা আসেনি। এমনকি এলাকাবাসি কবরটি পর্যন্ত করে দেয়নি। উপজেলা দাফন কমিটিই কবর খননের কাজ সম্পন্ন করে।
তিনি বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পর আমি নিজে গিয়ে একজন করোনা উপসর্গ ব্যক্তি মারা গেলে যা যা প্রয়োজন তা ব্যবস্থা করি। এক্ষেত্রে আমি হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ, দাফন কমিটির সাথে যোগাযোগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ করি। তারা এ কাজে সহযোগিতা করে। হাজীগঞ্জ থানার পুলিশের ফোর্স গিয়ে মৃতের পরিবারকে সহায়তা করে।
তিনি জানান, এলাকার মেম্বার এবং চেয়ারম্যান এগিয়ে আসেননি। তারা কোন সাপোর্টিং রোল প্লে করতে পারেনি। আমি সেখানে গিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে ফোন দেই, তিনি আমাকে বললেন- আসতে পারবেন না। মেম্বারকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে লোক মারফত তাকে খবর পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিলে মেম্বার আসেন।
তিনি বলেন, এটি এটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে গেল। যারা মৃত্যুবরণ করেন, তাদের দাফন কাপনে এগিয়ে আসা সামাজিকভাবে সবার কর্তব্য।

শেয়ার করুন

Leave a Reply