হাজীগঞ্জে দেবর হত্যার ঘটনায় ভাবি কারাগারে

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার মাইক্রো চালক মজনু (৩০) হত্যার ঘটনায় ভাবি মাহমুদা বেগমকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মাহমুদা বেগম মজনুর ভাই প্রবাসী মফিজুল ইসলামের স্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ মো. আলমগীর হোসেন রনি নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মজনু হত্যার ঘটনায় তার ভাবি মহামুদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শনিবার তাকে চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, মাহমুদাকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। মামলার বাদী মজনুর বড় ভাই। হত্যা মামলায় নামধারী কাউকে উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাত আসামী হিসেবে মামলাটি রুজ করা হয়।
মজনু হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় মিজি বাড়ীর বাসিন্দা। ওই বাড়ির আনোয়ার হোসেন মিজির বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন মজনু ও তার পরিবার। মজনুরা আট ভাই। সে পরিবারে সপ্তম সন্তান।
মঙ্গলবার সকালে মজনুর ভাই মন্টু প্রথমে রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে চাঁদপুর পিবিআই ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ওইদিন বাড়ীর মালিকের মেয়ে উম্মে সাবরিনা বলেন, সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে মন্টু চিৎকার দিয়ে তার ভাই খুন হয়েছে বলে জানান। পরে তার বোন হিরা আক্তার বাড়ীর গেইটের তালা খুলে দেয়। প্রতিদিন মজনুর পরিবার বাড়ীর গেইটের তালা বন্ধ করতো।
সাবরিনা আরো জানান, গত সোমবার ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মজনুর ভাইয়ের স্ত্রী মাহমুদা তাদেরকে চা খাওয়ায়। ওই চা খেয়ে সে ও তার মা মাজেদা বেগম, ছেলে নাফিসহ ৫জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন চা তিতা লেগেছিল।
এদিকে ঘটনার দিন মজনুর ভাই প্রবাসী মফিজুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, রাতে মজনু ভাত খায়নি। শুধু একটু দুধ খেয়েছে। তিতা বলে বেশি খায় নি। পরে মা রুপবান বেগম ও সে দুধ খেয়েছে। রাত ১১ টার দিকে মন্টু ও তার স্ত্রী শান্তা বেগম ওই বাসায় ছিল। তারা মিলে চা খেয়েছি। সকালে মন্টু ভাইয়ের চিৎকার শুনে তার ঘুম ভাঙে। ঘুম ভাঙলে দেখে তার পা বাঁধা ছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে পায়ের বাঁধন খুলে দেয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply