হাজীগঞ্জে হোটেল রাজমহলে আরব দেশের জনপ্রিয় দুই খাবারে ব্যাপক সাড়া

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
হাজীগঞ্জ রাজমহল হোটেল এন্ড সুইটস্ (সাবেক গাউছিয়া হোটেল) নামক একটি রেস্টুরেন্টে আরব দেশের জনপ্রিয় খাবার দুইটি তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জনপ্রিয় খাবারের নাম ‘আল-ফাহাম’। বিশেষ করে সৌদিরা বিশাল থালার চারপাশ ঘিরে মজা করে পাঁচ-ছয়টি আল-ফাহাম খায়। আবার আল-ফাহামের দোকানেও দেখা যায় বেশ ভিড়। সারিতে দাঁড়িয়ে কিনতে হয় খাবারটি। আর আল-ফাহাম হচ্ছে, মূলত মজাদার মুরগি ভাজা। যা কয়লায় পোড়ানো হয়।
অপরদিকে ‘রুমালী রুটি’। যা চাপাতি ও আফগানী রুটি নামেও পরিচিত। এই রুটি এক ধরনের পাতলা রুটি। যা কড়াই এর উত্তল অংশে শেঁকা হয়। যার উৎপত্তি ভারতীয় উপমহাদেশে। এটি আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় একটি খাবার। তবে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই রুটি পাওয়া যায়।
‘আল-ফাহাম’ নামক এই মুরগি ভাজা ও ‘রুমালী রুটি’ এখন আরব দেশ ও আফগানিস্তান কিংবা আমাদের রাজধানীর কোন বিদেশী চাইনিজ রেস্টুরেন্ট নয়, এখন আমাদের হাজীগঞ্জেও পাওয়া যায়।
ইতিমধ্যে ভোজন রসিকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই আল-ফাহাম ও রুমালী রুটি। তাই ভীড় করছেন, হোটেল রাজমহল এন্ড সুইটস্। সাধারণত ভোজন রসিক বাঙ্গালি ও তার রসনা বিলাসের চিরাচরিত অভ্যাস, তারা দেশীয় খাবারের সাথে মিল রেখে সব-সময় বৈচিত্রময় খাবারের সন্ধান করে। আর ‘আল-ফাহাম’ নামক মুরগি ভাজা ও রুমালী রুটি নামক রুটি দেশীয় খাবারের সাথে মিলে গেছে। পার্থক্য শুধু স্বাদে ও বৈচিত্রে।
গতকাল ( আজ) বৃহস্পতিবার ১০ জুন সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ভোজন রসিকেরা ‘আল-ফাহাম’ নামক এই মুরগি ভাজা ও ‘রুমালী রুটি’ খেতে ভীড় জমিয়েছেন ‘হোটেল রাজমহল এন্ড সুইটস’ নামক ওই রেস্টেুরেন্টে। এদের মধ্যে অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, স্বাদে ও মানে অতুলনীয় আল-ফাহাম ও রুমালী রুটি। তাছাড়া সার্ভিস ও ওয়াটারদের (রেস্টুরেন্ট স্টাফ) আতিথিয়তা ভালো।
এ বিষয়ে রেস্টুরেন্টের পরিচালক বাহালুল আলম খোকন বলেন, খাবারের বৈচিত্র আনতে আল-ফাহাম ও রুমালী রুটির ব্যবস্থা করেছে ‘হোটেল রাজমহল এন্ড সুইটস’। এখানে সব ধরনের রান্না করা খাবারসহ দই ও মিষ্টিজাতীয় সব খাবার পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ভোজন রসিকদের স্বাদের পাশাপাশি মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply