হারায়ে খুঁজি

-হোসেন ইকবাল-

সবগুলো দ্বার ছিলো বন্ধ
পাহারায় থাকা মানুষেরা ছিলো অন্ধ!
তো তাদের দুষ্ট মনের চোখগুলো ছিলো
মুরগি শিকারি শেয়ালের মতো তীক্ষ্ম।
আমি সেই গহীন রাতের কথা বলছি-
যে আঁধারে মানুষরূপী হায়নারা পিতাকে
শয়ন-শয্যা থেকে তুলে চোখে চোখ রেখেছিল।
মমতাময়ীকে, কোলের সন্তানকে টেনে হিঁচড়ে
দাঁড় করালো মরণ পারে!
অত:পর আমার একসাগর রক্ত দিয়ে কেনা মাটি
আর উজ্বল লালসবুজ পতাকা ভিজে গেলো!
গড়িয়ে গেলো হিমমিশ্রিত যতো অভিমানী জল।
হিমালয়সম দেহখানি নিথর, কালো চশমা, ঐতিহ্যের পাইপ, ধবল পাঞ্জাবি গেঞ্জি, লুঙ্গি
মায়ের আঁচল, পরমাত্মীয় সবের লাশের সারি!
প্রতিবাদী একজন এলো তো ফটকেই কেড়ে নিলো
তার জান।
গত হলো ৪৫! তো রক্তের দাগ শুকায়নি! এতোটা বছরের দীর্ঘ সময়ে একুশ অবদি কোন রা করতে
দিলো না ওদের জাতি ভাইয়েরা!
উপরন্তু মহান সংসদে বসে ওরা বিচারের পথ
দিলো রুদ্ধ করে!
কিছুই লাভ হয়নি- বরং জেগে উঠলো সত্যরাসব।
ন্যায়বিচার হলো। ফাঁসির কাষ্ঠে যেতেই হলো ওদের! থেমে গেলো দম্ভোক্তি।
আমি পেয়েছি, জনক কন্যাকে, পেয়েছি বিচার এবং আরো অনেক, পাইনি শুধু তাঁকে।
খোঁজে বেড়াই বর্ষা শরৎ হমন্তে- শীত বসন্তে
মাঝে মাঝেই যেন পায়ের আওয়াজ আর বজ্রকন্ঠ শুনি-
তোরা আমায় একটা সোনার বাংলা দে!!৷

শেয়ার করুন

Leave a Reply