২০৪০ সালের আগে দেশ তামাকমুক্ত করা হবে : অতিরিক্ত সচিব

জেলা পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটির প্রশিক্ষণ ও সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে জেলা পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ও সেমিনার সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ১৫ জুন সকাল থেকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
প্রশিক্ষনে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নাহার বেগম।
তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তামাকের ভয়াবহতার ব্যপারে প্রচারণার চালানো হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যের আগে মানে ২০৪০ সালের আগে এদেশ তামাকমুক্ত করা হবে। তাই তামাকের বিরুদ্ধে আমাদের সবার কাজ করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মনিটরিং করতে হবে জেলা প্রশাসনের। তামাকের ভয়াবহতা, আইন এসব বিষয়ে ব্যাপক প্রচার করতে হবে।
তিনি এই আয়োজনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।
প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের উদ্বোধনকালে সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আজকের এই সভায় আমরা যারা আছি, তামাক নিয়ন্ত্রনে কি কি করা প্রয়োজন তা জানতে হবে। সিগারেটের প্যাকেটে সর্তকতা মূলক (বিভৎস) ছবি থাকে যা দেখতে খুব ভয়াবহ, তবুও যারা ধূমপানে আসক্ত তারা তা ছাড়তে পারে না। তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের গোঁড়ায় যেতে হবে। প্রথমত আমাদের তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে, দ্বিতীয়ত বিক্রয়ে ও তামাক গ্রহন, খাওয়া বহন বিষয়গুলো নিরুৎসাহিত করতে হবে। তামাক গ্রহনকারীদের গ্রহণ নিভৃত করার জন্যে শিশু বয়স থেকেই অনুপ্রেরণামূলক কাজ দিতে হবে। প্রতিবছর প্রত্যেকটা স্কুলে গিয়ে গিয়ে একটি ওয়ার্কসপ করতে হবে। তাদেরকে তামাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝাতে হবে। তিনি বলেন, শুরুতেই যদি তামাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে ডুকিয়ে দিতে পারি তাহলে তারা আর এই তামাকে দিকে ধাবিত হবে না।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, অনেকেই যাত্রাপথে গাড়িতে, যেখানে-সেখানেই বিড়ি সিগারেট জ্বালিয়ে ফেলেন। এতে করে পাশে থাকা অন্য লোকটিরও ক্ষতি হয়। এর জন্যে আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার প্রচারণার। যত্রতত্র, পাবলিক প্লেস, হোটেল রেস্তোরাগুলোতে ধূমপান করা যাবে না। এ আইন আছে এবং কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
এছাড়াও তামাক ও তামাকজাত পণ্যের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জেন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক একেএম দিদারুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রনের উপর চমৎকার একটি ডকুমেন্টারি পরিবেশন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অসীম চন্দ্র বনিক। তিনি এর ডকুমেন্টারিতে তামাক সেবনে ভয়াবহতা এবং এর আইন সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply