২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রতিদিন চারটি করে ক্লাস : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
চাঁদপুর প্রতিদিন ডেস্ক :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান দুই সপ্তাহ পর খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এখনই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান শুরু করা যাচ্ছে না।
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তিনি বলেন, ‘যাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া সম্ভব হয়েছে, তারাই শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হবেন। অনেক শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এর আগ পর্যন্ত অনলাইন ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজ নিজ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘১২ বছর বয়সের নিচে যেসব শিক্ষার্থী আছে, তাদেরও টিকাদানের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ যত নামতে থাকবে ততই ক্লাস বাড়বে।’
প্রতিদিন কয়টি ক্লাস নেওয়া হবে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান শুরুর পর সর্বশেষ যেভাবে শ্রেণি পাঠদান চলেছে, সেভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি পাঠদান চলবে। যেভাবে চলছিল ঠিক সেই জায়গা থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করবো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে সংক্রমণ যত কমবে, আমাদের ক্লাসের সংখ্যা তত বাড়িয়ে দেবো। আমরা যত দ্রুত পারি ক্লাসের সংখ্যা স্বাভাবিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।’
ফুল ফেজে কবে থেকে ক্লাস চালু হবে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যখন দুই ডোজ টিকা সবার হয়ে যাবে, তখন চেষ্টা করবো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে। আমাদের হয়তো আরও অনেক দিন কোভিডের সঙ্গে বাস করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা দুই ডোজ টিকা নেওয়া হয়ে গেলে মোটামুটি একটা স্বস্তির জায়গায় থাকতে পারবো। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় চলে যেতে পারবো।’
উল্লেখ্য, গত বছরের নির্ধারিত সর্বশেষ সূচিতে জানানো হয়েছিল, প্রতিদিন প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চারটি করে ক্লাস করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শোহেদুল খবির বলেন, ‘গত বছরের রুটিন অনুযায়ী, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণিপাঠদান চলবে। তবে যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থুলে দেওয়া হয়েছিল, তখন একাদশে শিক্ষার্থীরা ভর্তির হয়নি। শিগগিরই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির রুটিন তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হবে।’