৪নং কালচোঁ ইউপি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী রোটা. এস এম মানিক

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং কালোচোঁ ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রোটা. এস এম মানিক।

স্থানীয় রামপুর বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সদা হাস্যোজ্বল রোটা. এস এম মানিক ইউনিয়নবাসীর আশ্বাসে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে স্থির করেছেন। রোটা. এস এম মানিক ছাত্রজীবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপেক্ষর লোক। তাঁর পরিবার আওয়ামী লীগের পরীতি সমর্থক। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন চাইবেন দল থেকে। নৌকা প্রতীক পেলেই নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, নির্বাচন বড় কথা নয়, আমি কালচোঁ ইউনিয়নের বাসিন্দা, এ ইউনিয়নবাসীর ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই ।

রোটা. এসএম মানিক প্রতিষ্ঠিত শুধু ব্যবসায়ী নন, ব্যবসায়ী নেতাও। নিজের ব্যবসার সততা আর নেতৃত্বের সততার কারণে এলাকাবাসীর মনে বহু আগেই স্থান করে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে রাজনীতিতেও নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন সততার সাথে। যে কারণে এলাকাবাসী কিংবা ব্যবসায়ীদের যে কোনো বিপদে বিপদগ্রস্তরা ছুটে আসে তাদের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু তাদের মানিক ভাইয়ের কাছে। মানিকও কম নন। যে কোনো বিষয়ে সমস্যা সমাধানে কখনো ছাড় দিয়ে কথা বলেন না। নিজের আত্মীয়-স্বজনের নামে অভিযোগ আসলেও নীতি-আদর্শ থেকে এক চুল পরিমাণ বিচ্যুত হয়ে কথা বলেন না। এটা সর্বজন স্বীকৃত।

এসএম মানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য পদে আসীন রয়েছেন। অতীতের দিনগুলোতে ছিলেন আওয়ামী লীগের কাণ্ডারী, এখনো আছেন। যে কারণে দলের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কোনো অংশেই কম নয়। স্থানীয় রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিদ্দিকুর রহমানের সন্তান এস এম মানিক। ৪ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি ৬ষ্ঠ। তার পরিবারের সকল সদস্যই মুক্তিযুদ্ধের স্বপেক্ষের। তাঁর বড় ভাই আবুল বাসার কালচোঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সৌদি আরবস্থ দাম্মাম আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ উদ্দিন চৌধুরী।

রোটা. এস এম মানিক ২ ছেলে ১ কন্যা সন্তানের জনক। ব্যবসায়ীকভাবে সফল এ সমাজসেবক রাজনীতিতেও সফলতার স্বাক্ষর রাখতে চাই।

এস এম মানিক বিগত ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ ইউনিয়নে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের পে তথা নৌকা প্রতীকে সরাসরি নির্বাচনে নিজ শ্রমে-ঘামে কাজ করেছেন। করোনাকালীন এলাকার অসহায় দুঃস্থদের বিষয়ে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির নির্দেশে উক্ত ইউনিয়নের দুগ্ধপোষ্য শিশুদের জন্য শিশু খাদ্য, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ কয়েক হাজার এলাকাবাসীকে অর্থ সহায়তা ও খাদ্য সহায়তা দিয়ছেনে।

সামাজিক অবস্থানে এস এম মানিক কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। তিনি বর্তমানে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, মাড়ামুড়া আল আকসা জামে মসজিদ ও কুচিরখাল ভাসমান পাম্প সেচ প্রকল্পের সভাপতি পদে আসীন রয়েছেন। রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ রোটারী কাব অব হাজীগঞ্জের সদস্য, কমিউনিটি পুলিশিং ৪নং কালচোঁ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সমবায় সমিতির সদস্য, প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যও আশ্রাফুল নূরানী মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক। রামপুর বাজারস্থ গাউছিয়া ভবনসহ গাউছিয়া শপিং কমপ্লেক্সের মালিক তিনি নিজে। এ ছাড়া তিনি একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। এই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রায় শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

নিজের বিষয়ে বলতে গিয়ে এস এম মানিক জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হয়েছে, আর আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকাসহ স্বাধীন-সার্বভোম দেশ। সেই আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হতে পেরে নিজেকে আজ গর্বিত মনে হচ্ছে, যে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে ও চলমান রয়েছে তা বিশ্বে আজ স্বীকৃত। দেশের বিদ্যুৎ খাত, পদ্মা সেতু, মেট্ট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করণসহ মেঘা প্রকল্পগুলো নিয়ে গর্ব করা ছাড়া বলার কিছু নেই। বিশেষ করে করোনকালীন দেশের জনগণের পাশে খাদ্য সহায়তা ও নগদ টাকা সহায়তা প্রদান সত্যিকারে সরকারের বিশাল সফলতা। আমার কথা হলো, দেশ ও দশের সেবা করতে হলে মানুষকে ভালোবাসতে হবে। কাউকে অমূল্যায়ন করা যাবে না। আমরা সবাই সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। তাই যে কোনো মানুষের পাশে থাকা মানুষের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে আমি মনে করি। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকতে নেই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply