আনন্দবাজারে ১৫ বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন, ভাঙন আতঙ্কে কয়েকশ’ পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে আনন্দবাজার নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তীরে আঁচড়ে পড়া মেঘনার তীব্র ঢেউয়ে প্রায় ১৫টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও চলাচলের সরকারি রাস্তার গাইডাল ভেঙে পড়ে যায়। বসতঘর ভেঙে যাওয়া পরিবারের অনেকেই পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। বর্তমানে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
খবর পেয়ে সাথে সাথে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী। তিনি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে ২৬ অক্টোবর বুধবার সকালে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী। তারা পায়ে হেঁটে এবং নৌকাযোগে ইনিয়নের ৮, ৯ ও ৭নং ওয়ার্ড এলাকার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নিশ্চয়তা দেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য মোঃ ইয়াসিন বেপারী, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম শামীম, ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তফা মাল প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল বলেন, এলাকায় নদী ভাঙ্গন ও ক্ষয়ক্ষতির কথা আপনাদের চেয়ারম্যান রাসেল গাজী আমাকে জানিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে দেখেছি। আমাদের সার্ভেয়ার পরিমাপ করছে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী জানান, গত ২৪ অক্টোবর সোমবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকের প্রভাবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় মেঘনার ঢেউ আঁচড়ে পড়ে। এতে প্রায় ১৫ টি বছর বসতঘর নদীগর্ভে বিলীনসহ অনেকের বসতভিটে এবং আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বসতঘর ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। মাথা গোজার একমাত্র বসতঘর হারিয়ে তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। অতিদ্রুত ভাগন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তার আশঙ্কা করছেন।