ঐতিহাসিক ৭ই দিবসে চাঁদপুর জেলা প্রসাশনের আলোচনা
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ২১ বছর জাতির পিতাকে নিয়ে সকল প্রকার প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল : জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
অভিজিত রায় :
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রসাশনের আয়োজনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলার ৭ মার্চ চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধার অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রসাশক কামরুল হাসান।
এসময় তিনি বলেন,৭ কোটি মানুষের আশা আখাংঙ্কা, মুক্তির লক্ষ্যে দেশ স্বাধীনের জন্য নিজের প্রাণের তোয়াক্তা না করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার পূর্বে সমগ্র বাংলাদেশে ক্ষমতায় না থেকেও দেশ পরিচালাতি হয়েছিল জাতির জনকের নেতৃত্বে। জাতির জনকের মহান আদর্শ, তার কৃত্তি প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে আজকে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস পালন করা হচ্ছে। দেশ স্বাধীনের পর দীর্ঘ ২১ বছর জাতির পিতাকে নিয়ে সকল প্রকার প্রচার প্রচারনা বন্ধ ছিল।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ নৌ বাহিনীসহ সকল দপ্তরের বাঙ্গালী অফিসার থেকে পাকিস্তানী অফিসার অধিক ছিল। বিশাল এক ব্যাবধান ছিল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থারনর মধ্যে। পূর্ব পাকিস্থানের সম্পদ সেসময় পশ্চিম;পাকিস্থানে চলে যেত। জাতির পিতা তিনি ১৮ মিনিটের অধিক যে ভাষণ দিয়ে ছিলেন তা ছিল অলিখিত। তিনি তার সকল কর্মকান্ড ও স্বাধীনতার বিষয়ে সকল কিছু অর্নগল বলেছিলেন ভাষণে। জাতির জনকের ভাষণ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্কীকৃতি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভাষন বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। আজকে দিবসটি পালন করাই নয়, আমাদের প্রজম্মকে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কে জানানো। ৭৫ এর পর যাদের জম্ম হয়েছে তারা সঠিক ইতিহাস জানেনা। তাদের কে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানাতে হবে। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর বাংলাদেশ কে সোনার সাথে তুলনা করেছেন। তাই তিনি বাংলায় বসেই আমার সোনার বাংলা লিখে ছিলেন। জাতিকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। জাতির পিতা যে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি লিখে কোনো বক্তব্য দেন নি। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সেদিন তিনি লাখো জনতার উপস্থিতিতে ভাষণ দিয়েছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের অসমাপ্ত কাজ গুলো করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারই কণ্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক ( সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ ও সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবুর যৌথ পরিচালনায়
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাহাদাত হোসেন, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্ল্যাহ।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।