চাঁদপুরের চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপার আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের আতঙ্কে রয়েছেন। একের পর এক রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার বোরচরে কৃষক সুমন বেপারী তার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখা মিলে রাসেল ভাইপার। পরে সবাই মিলে মেরে ফেলে এই বিষধর সাপটিকে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে গফুর বাদশার অলুর জমিতে দেখা মিলেছিল ২টি রাসেল ভাইপার। হঠাৎ করেই মতলব উত্তরের নদী পাড়ের বিভিন্ন স্থানে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে।

কৃষক সুমন বেপারী জানান, সকালে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখেন ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে লাঠিসোটা দিয়ে মেরে ফেলে । সাপের ভয়ে কোন শ্রমিক জমিতে ধান কাটতে রাজি হচ্ছে না।

বোরচর এলাকার বাসিন্দা সানাউল্লাহ মাষ্টার জানান, গত কয়েক মাস ধরে বোরচর এলাকার রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে। এতে জমিতে ফসল আবাদ করতে ভয় পাচ্ছে শ্রমিকরা।
উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী জানান, বোরচর এলাকার সাপের দেখা মিলছে। সকল কৃষদের সাবধানে ধান কাটার জন্য বলা হয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে এই অঞ্চলে এই ধরনের সাপের দেখা মিলছে।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, রাসেল ভাইপার সাপ অত্যন্ত বিষধর। এর কামড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এর প্রতিষেধক রয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া হলে এ থেকে বাঁচা সম্ভব।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, মতলবের চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব অনেক বেড়েছে। এখলাসপুর ইউনিয়নের বোরচর এই সাপের উপদ্রব বেশী। এখন কৃষকরা পায়ে বুট পড়ে ধান কাটবেন। আর ধানকাটা সকল শ্রমিকদের বুট দেয়াও অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমাদেরকে জানালে ধানকাটা মেশিন দিয়ে সহায়তা করা হবে।

শেয়ার করুন