চাঁদপুরে রেলের জমি থেকে ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে বছরের পর বছর রেলওয়ের জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় সদর উপজেলার মৈশাদী রেলস্টেশন এলাকায়। এতে দোকানঘরসহ প্রায় ৩শ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জনিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল কর্মকর্তারা জানান, মৈশাদী বাজার এলাকায় রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে বহু বছর ধরে প্রায় ৫শতাধিক বিভিন্ন প্রকার অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পাকা, সেমিপাকা ও টিনসেট অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। তাদেরকে রেলওয়ে থেকে কোন প্রকার অনুমতি বা লিজ দেয়া হয়নি। রেলওয়ে থেকে গত ১৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে এ অবৈধ ভাবে ব্যবসা করা ব্যবসায়ী ও স্থাপনাকারীদের বরাবর নোটিশ করে ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা সরায়নি। তাই টিনের তৈরী, পাকা ও সেমিপাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। আগামী দুই মাস এই উচ্ছেদ অভিযান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে রেলপথের চাঁদপুর জেলার অংশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মৈশাদী স্টেশন বাজার কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে পারেননি। তাদেরকে আরো আগে নোটিশ না দেয়ার দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম বলেন, উচ্ছেদ অভিযান আমাদের পূর্ব নির্ধারিত। আগামী দুই মাস এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেখানে অবৈধ স্থাপনা থাকবে সেখানে অভিযান চলবে। আজ আমরা চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রায় ৩শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছি। এর মধ্যে টিনসেড, পাকা ও সেমিপাকা স্থাপনা ছিল।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, উর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী এসএসএই (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার, এসএসএই (কার্য) আতিকুর রহমান আখন্দ, রেলওয়ের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ, কানুনগো লাকসাম মো. কাউছার হামিদ, সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন, রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্যাহ বাহার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলমসহ চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তা মো: শাহজাহান এবং সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের মৈশাদী, সাহাতলীসহ বিভিন্ন স্থানে হাজারো অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।