একই আসনে আ.লীগের মনোনয়ন চান পিতা-পুত্র
ইব্রাহীম রনি :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র নিয়েছেন আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও তার পুত্র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকারী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু। একই আসনে পিতা-পুত্রের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ নিয়ে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম দুুটি সংগ্রহ করেন দিপু চৌধুরী ও তার ছেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার আশফাক হোসেন চৌধুরী মাহি। সোমবার (২০ নভেম্বর) মনোনয়ন ফরম দুুটি আবার জমাও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, আমরা একসাথে গিয়ে চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়ন চেয়ে মায়া ভাই ও তার ছেলে দিপু চৌধুরী জন্য মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছি। বিগত নির্বাচনেও তারা দুজন একই সাথে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আশাকরি, আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা মায়া চৌধুরীকে এবার মনোনয়ন দিবেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি নিয়মিতই আমার নির্বাচনী এলাকায় যাই। দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে থাকি। মতলবের মাটি বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘাঁটি। চাঁদপুর-২ নৌকার মাটি, নৌকার দেশ, টিকেট পেলেই লেটারে পাস। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। পাশাপাশি চাঁদপুর-২ আসনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে মাঠে ময়দানে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে উপস্থিত ছিলেন ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জজ, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুুব আলী গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মুক্তার হোসেন গাজী, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দানেশ, জাতীয় শ্রমিকলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন ফারুক আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
জানা গেল, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে চাঁদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।