প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান তরুণী হাজীগঞ্জে
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
প্রেমের টানে ছুটে এসে বাংলাদেশী এক যুবককে বিয়ে করেছেন মালয়েশিয়ান এক তরুণী। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকায় ধর্মীয় রীতি মেনে বাংলাদেশী যুবক ওমর ফারুক ও মালয়েশিয়ান তরুণী নূর আয়েশার সাথে বিয়ে পড়ানো হয়।
এর আগে গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ওই তরুণী মালয়েশিয়া থেকে তার মা, বড় ভাই ও বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ওমর ফারুক চাঁদপুর সদর উপজেলার বড় শাহতলীর চৌধুরী বাড়ীর মৃত কামালের ছেলে। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
মালয়েশিয়ান তরুণী নূর আয়েশা ওই দেশের পেনাং শহরের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি ইউনিভার্সিটিতে (বিশ্ববিদ্যালয়) পড়াশোনা করছেন এবং পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরী করছেন।
জানা গেছে, জীবিকার টানে ওমর ফারুক ৭ বছর আগে মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে ফেসবুকে নূর আয়েশার সাথে পরিচয় হয় তার। পরে দুজনে একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ৪ মাস পুর্বে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন। এই ৪ মাস প্রিয় মানুষটিকে কাছে না পেয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন নূর আয়েশা। ‘
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নূর আয়েশা তার মা,বড় ভাই ও বড় ভাইয়ের স্ত্রীর উপস্থিতিতে এবং ওমর ফারুক তার অভিভাবকদের সম্মতিতে ধর্মীয় রীতি মেনে বাঙ্গালী বধূ সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। বিয়ের আগে ধুমধামে তাদের গায়ে হলুদ দেওয়া হয়। বিয়েতে খুশি ওমর ফারুক ও নূর আয়েশার পরিবারের সদস্যরা।
কথা হয় ওমর ফারুকের সাথে। তিনি বলেন, সত্যিকারের ভালোবাসা কোনো বাধা মানে না। একই কথা বলেন নূর আয়েশা। তিনি জানান, দেশে (মালয়েশিয়া) ফিরে দু’জনই নতুনভাবে ক্যারিয়ার শুরু করতে চান।
ভিনদেশি বউয়ের সাথে সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলে ওমর ফারুকের মা জানান, ইংরেজীতে পুত্রবধু কিছু কিছু বাংলা শিখার চেষ্টা করছে। পুত্রবধুর সাথে তার মা, বড় ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী বাংলাদেশে এসেছে।
ওমর ফারুকের মা বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন, এয়ারপোর্ট পুলিশ, বাংলাদেশের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে বলেন, বাংলাদেশ অনেক সুন্দর দেশ। এদেশের মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশের পুচকা খুব মজাদার। মালয়েশিয়াতে একটি পুচকার ব্যবসা চালু করবো। যা খেয়ে মানুষ আনন্দিত হবে।