ফরিদগঞ্জে চরাঞ্চলে যৌথভাবে ধান ও মাছ চাষের সিদ্ধান্ত
আবদুল কাদির :
ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরগুলোতে মাছ ও ধান চাষ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে চর পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তর। রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে ইউএনও তাসলিমুননেছার সভাপতিত্বে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান জি এস তছলিম, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মাজুদা বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: কামরুজ্জামান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. নামজুন নাহার অনি, সাংবাদিক মহিউদ্দিন, কৃষকদের পক্ষে শাহ আলম মিয়াজী, চরপরিচালনা কমিটির পক্ষে মো: শাহজাহান, শাহজালাল, ইসমাইল হোসেন সোহেল, আলমগীর হোসেন, মাহমুদুল হাসান মঞ্জু বক্তব্য রাখেন।
সভায় চর পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা চরে ধান চাষের বিপক্ষে নয়। কিন্তু ধান চাষের চেয়ে মাছ চাষে লাভ বেশি হওয়ায় জমির মালিকরা মাছ চাষে সম্মতি দেন। প্রতি বছর ইজারার পুর্বে তারা কৃষক ও চরের মালিকদের সাথে কথা বলেন। যেই দিকে সমর্থন বেশি সেই ভাবে তারা কাজ করেন।
অন্যদিকে কৃষকদের পক্ষে শাহআলম মিয়াজী বলেন, জমির মালিক ছাড়াও এই এলাকার কৃষি কাজের উপর অনেক কৃষক নির্ভরশীল। বছরের অন্তত একবার ধান চাষ হলে ওই কৃষকরা বেঁচে যাবে।
উপজেলা পরিষদ ভাইসচেয়ারম্যান জি এস তছলিম বলেন, সিআইপি ধানের আবাদ বাড়াতে তৈরি হয়েছিল। তাই মাছ চাষের পাশাপাশি ধানের আবাদও করতে হবে। নচেৎ খাদ্য ঘাটতি দিন দিন বাড়বে।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী খাদ্যঘাটতি মোকাবেলায় ধান চাসে উদ্ধুব্ধু করতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু কিছু চর পরিচালনা কমিটি কৌশলে কৃষকদের ধান চাষ থেকে বঞ্চিত করছেন। তাই আমি কৃষি অফিসারকে চিঠি দিয়েছি। সেই মোতাবেক আজকের এই বৈঠক। ধান চাষের বিকল্প নেই। উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে কৃষি অফিস সহযোগিতা করবে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাসসিলুমনেছা তার বক্তব্যে বলেন, যে জমিতে ধান চাষের উপযোগিতা রয়েছে, সেখাসে ধান চাষ হবে। আর যেখানে ধান চাষ মোটেও উপযোগি নয়, সেখানে মাছ চাষ হবে। প্রয়োজনে উপজেলা কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ আপনাদের সহযোগিতা করবে। আপনারা মাছ ও ধান উভয় চাষ করুণ।
পরে সভায় চরগুলোতে বছরের ৪ মাস ধানের আবাদ ও বাকী ৮ মাস মাছের চাষ করার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রকাশ থাকে যে, আগাম খাদ্যঘাটতি মোকাবেলায় মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি নাথাকে সে নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় কেরোয়ার বিশাল চরে ধান নাকি মাছ চাষ হবে এ নিয়ে দ্ব›েদ্বর অবসান ঘটাতে আলোচনার আয়োজন করা হয়।