শহরের প্রবেশপথে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্মিত নান্দনিক ‘বঙ্গবন্ধু গেট’ সবার মন কাড়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চির অম্লান করে রাখার জন্য চাঁদপুর জেলায় যে ক’ টি ম্যুরাল নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে “বঙ্গবন্ধু গেইট” নান্দনিকতার অনন্য প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষে জেলা শহরের প্রবেশ পথে বাবুরহাট বাজার লাগুয়া চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের দু’পাশ ঘিরে এই গেইটটি পর্যটকসহ সকল দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়। জানা মতে, চাঁদপুর-কুমিল্লা ৬০ কিলোমিটার পথে এটাই একমাত্র বঙ্গবন্ধু গেইট, যা দারুন সৌন্দর্য মন্ডিত । চাঁদপুর জেলা পরিষদ ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই গেটটি স্থাপন করেন। ২০২১ সালের বিজয় দিবসে চাঁদপুরের সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গনি পাটওয়ারী তৎকালীন জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান , জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী দুলালসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে এটি উদ্বোধন করেন। জেলা পর্যায়ে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এটি একটি মাইলফলক। কারন শহরের ভেতরে এবং শহর থেকে বের হলেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিতে তৈরি এই একটি সৃষ্টিই দিনে এবং রাতে চোখে পড়ে। তাছাড়া তোড়নটি দেখবার জন্যও দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। রাতে এর দৃষ্টি নন্দন আলো যখন দূর থেকে দেখা যায়, তখন গাড়ি চালক ধীর গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসে। কারণ এটির সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখার জন্য যাত্রীরাও চালককে বলে। হোক না সে যে কোন যানবাহন। ট্রাক চালক আবদুল হামিদ বলেন, রাস্তায় গাড়ি চালাই মোটামুটি জোরে শোরেই। কিন্তু এই গেটের কাছে এলে গাড়ি চালাতে গিয়ে গতি কমিয়ে দেই। অনেক সুন্দর দেখা যায়। মাইক্রো চালক আবদুস সালাম বলেন, এটি দেখার মতো। আমাদের যাত্রীরাই বলে একটু আস্তে চালান ভাই, গেটটা দেখি। তার মতে বঙ্গবন্ধুকে স্মরনে রাখার জন্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক ওচমান গনি পাটওয়ারীর অবদান অনেক বেশি।
এ ব্যাপার সাবেক চেয়ারম্যান ওচমান পাটওয়ারী বলেন, আমি জাতির পিতার স্মরনে আরো অনেক কিছু করেছি, জেলা শহরের ভেতরেও আরো কিছু করার ইচ্ছা সবসময়ই পোষন করেছি। অনেক বড় প্লানও আছে, ছিলো। কিছু বিপত্তির কারনে সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য যা কিছু করার তা আমার করা একরকম গুরু দায়িত্ব। কারণ আমি তাঁর আদর্শের সৈনিক আমৃত্যু। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল আদেশ মেনে চলাদের একজন আমি। মহান আল্লাহ পাকের রহমতে আপনাদের দোয়ায় এবার নির্বাচিত হয়ে এলে আরো উন্নয়ন করবো। চাঁদপুর শহরই নয় জেলার যেখানে যেখানে জনগনের উন্নয় দরকার আমাদের জেলা পরিষদের আওতাধীন, সেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবেই। আগেও শত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি।