হাজীগঞ্জে গ্যাস সংযোগের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দিবে বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক ঠিকাদার। ঠিকাদার পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন বাসা বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবনে এবং রেঁস্তোরায় গ্যাস লাইনের সংযোগ দেওয়ার নামে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাইন সংযোগকারী এই প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য হচ্ছেন রুহুল আমিন কোম্পানি। তার দেশের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তবে থাকেন হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার টোরাগড়ে।

গত কয়েক দিন পূর্বে হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল তার ফেইসবুক ফেইজে হাজীগঞ্জে ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বাসা বাড়ি,বাণিজ্যিক ভবন ও রেস্তোরাঁ গ্যাস লাইন দেওয়ার নামে রুহুল আমীন কোম্পানির মানুষকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এমন স্ট্যাটার্স নজরে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এই রুহুল আমিন কোম্পানি ঠিকাদার ও অফিসার পরিচয় দিয়ে গত বছরের অক্টোবর মাসে ৪৯ লাখ ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলাখাল দিঘীরপাড় আলী আহমদ মিয়ার কাছ থেকে। আর এ টাকা দক্ষিণ বলাখাল দাস বাড়ির মনোরঞ্জন দাসের মাধ্যমে রুহুল আমীন কোম্পানি নিয়েছেন। এছাড়া হাজীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা বলে ৫৮টি পরিবারের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে দীর্ঘ দিনেও বৈধ সংযোগ না পেয়ে তারা রুহুল আমিন কোম্পানির কাছে টাকা ফেরত চায়। এরপর থেকে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উল্টো নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে রুহুল আমিন কোম্পানি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল বলেন, এ রুহুল আমীন কোম্পানি বিভিন্ন নামে বেনামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমার কাছে অনেকেই মৌখিক ভাবে জানালে তাদেরকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ দেই।
হাজীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জীবন বলেন, রাস্ট্রীয় নিয়মের বাহিরে কোন কাজ করা বে-আইনি। যেখানে গ্যাস সংযোগ লাইন বন্ধ সেখানে টাকা নেওয়ার কোন মানে হয় না।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, আমি ক্ষতিয়ে দেখবো এ জাতিয় কোন অভিযোগ আছে কিনা। থাকলে বা কেউ নতুন করে এ ধরনের অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নিবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমীন কোম্পানি বলেন, আমার তিনটি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্যাস লাইনের বিষয়ে আবেদন নেওয়া হয়েছে তখন তারা নিজেরাই সরকারী চালান রশিদ আমাদেরকে দিয়েছে। তবে হঠাৎ করে সরকার গ্যাস সংযোগ নতুন লাইন বন্ধ করায় গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছে। চালু হলে তারা সবাই লাইন পাবে। আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানি চাঁদপুর অঞ্চল প্রধান মোবারক হোসেন বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কয়েকজন লোকের নামে অভিযোগ রয়েছে। তবে এখানে রুহুল আমিন কোম্পানির কোন কর্মরত ছেলে আছে কিনা তা দেখলে বলতে পারবো। গ্রাহক সেবা অচিরেই নতুন লাইনের সিদ্ধান্ত আসছে তখন হয়তো এ ধরনের অভিযোগ থাকবে না আশাকরছি।

শেয়ার করুন