ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশ

মারুফা সুলতানা খান হীরামনি ::
ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এসেছে, একথা আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাই স্বীকার করে আজ। অতীতে কখনো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে নিয়ে আজকের মতো ডিজিটালভাবে ভাবা হয় নি। মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী মোবাইল, এই মোবাইলেই কিভাবে ঘরে বসে ভূমি সেবা পাওয়া যায় সে বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় অনন্য অসাধারণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১৬১২২ এ কল করে দেশ বিদেশ যেকোনো জায়গা থেকে ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সেবা পাওয়া যায়। ডিজিটাল ভূমি সেবাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকায় পালন করা হয়েছে “ভূমি সেবা সপ্তাহ, ২০২৩”, উক্ত অনুষ্ঠানে ৭ টি স্মার্ট সেবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। www.land.gov.bd তে ব্রাউজ করে ভূমি বিষয়ক ডিজিটাল সেবাগুলো গ্রহণ করা সম্ভব। ঘরে বসেই আমরা হাতে পেয়ে যাচ্ছি বিভিন্ন জরিপের খতিয়ান, ম্যাপ। এসব খতিয়ান, ম্যাপ যদি গ্রাহক চায় তাহলে ডাকের মাধ্যমে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাও আছে। অর্থ লেনদেন করা যায় এমন যেকোনো App থেকে, যেমন – বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি থেকে ভূমির খাজনা পরিশোধ করা যায়। বর্তমানে সকল নামজারি অনলাইনে করা হচ্ছে। নামজারি বা Mutation এর জন্য http://mutation.land.gov.bd তে ব্রাউজ করে নামজারির সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছে জনগণ। এছাড়া শুরু হয়েছে ডিজিটাল জরিপ। এ জরিপের দরুন আমরা Google Map এ যেমন দেখতে পাই তেমন করে নির্দিষ্ট জমির দাগ খতিয়ানের পাশাপাশি আশেপাশের জমিরও সরেজমিনে অবস্থা বুঝা সম্ভব। আমাদের দেশে আমরা জন্মগ্রহণকে বলে থাকি ভূমিষ্ট হওয়া, জন্মের সাথে যেমন ভূমি সম্পর্কিত ঠিক তেমনি কবরস্থ হতেও ভূমির প্রয়োজন। ভূমির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণে ভূমি বিষয়ক জ্ঞান তাই খুব ছোটবেলা থেকেই নেয়া উচিত, তাই পাঠ্য বইয়ে ভূমি বিষয়ক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে ।

লেখক পরিচিতি: মারুফা সুলতানা খান হীরামনি, সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ।

শেয়ার করুন