ফরিদগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি

আবদুল কাদির :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সিত্রাং এর আঘাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যুৎ সংযোগ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সড়কগুলোতে গাছ হেলে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। উঠতি আমন ধান ও শাক-সবজি পানিতে তলিয়ে যায়। বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে। তবে ঝড়ো হাওয়ার শুরু থেকেই বিদ্যুৎ সরবহরাহ বন্ধ রেখেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
অতিবৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে বেশীমাত্রায় ক্ষতির সমুক্ষীন কৃষক রেজু মুন্সী, আঃ খালেক, অহিদ উল্যাহ, দেলোয়ার হোসেন, সওকতসহ অনেকেই জানান,আমাদের রোপা আমন ও শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ যাবৎ রোপা আমন দু‘বার এমনকি শাক-সবজি এর আগেও বৃষ্টির কারনে কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শীততালীন শাক-সবজি ২৫০ হেক্টোরের মধ্যে ১৮০ হেক্টোর, রোপা আমন ৮হাজার ৩শত ৫০ হেক্টোরের মধ্যে ২হাজার ৫শত ৫০ হেক্টোর ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা জানান, উপজেলা মৎস্য অফিসের পোনা উৎপাদনের পুকুরগুলোর পাড় ধসে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।। কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এমন সংবাদ পেয়েছি।উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও জনবলের অভাবে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ৩ কেভি লাইনে ৪৫/৫০টি গাছ পড়েছে,ফিডার লাইনে ২০০ থেকে ২৫০টি গাছ পড়েছে, ১০টি খুটি ভেঙ্গেছে, ৫০টিরও বেশী স্পটে তার ছিঁড়েছে। শতাধিক মিটার বিকল হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে আজ রাতে আংশিক কালকের মধ্যে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বচল করা সম্ভব হতে পারে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার জানান, একটি স্কুল ও একটি মসজিদসহ ১৬টি কাচাঁ-পাকা বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুননেছা জানান, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য আসতে শুরু করেছে, তবে এখনই চুড়ান্ত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছেনা। তবে যোগাযোগ ব্যাবস্থা, ফসল ও বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শেয়ার করুন