হাজীগঞ্জে মসজিদের সরকারি অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ
চাঁদপুর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১ নং
রাজারগাঁও ইউনিয়নে মসজিদের সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি,ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত পূর্ব রাজারগাঁও বাইতুল আকসা জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে উপজেলা প্রশাসনের টিআর প্রকল্প থেকে দুটি অর্থবছরে (২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬) মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৯০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ৯০ হাজার টাকা ছাড় করা হয়।
কিন্তু মসজিদ কমিটির দাবি প্রথম ধাপে তারা মাত্র ৫০ হাজার টাকা,এবং দ্বিতীয় ধাপে ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। অর্থাৎ মোট ৭০ হাজার টাকা তাদের হাতে এসেছে। বাকি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর কাজী,জলিল মেম্বার ও ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের একাউন্টে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা উঠেছে। চেয়ারম্যান আমাদের কাছ থেকে আগেই ব্ল্যাংক সেটে সই নিয়েছিল। পরে দুই মেম্বার ও আমার ক্যাশিয়ার গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন। প্রথম দফায় ৫০ হাজার,দ্বিতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা আমাদের হাতে দিয়েছেন। বাকি টাকা পাইনি। তিনি আরো বলেন,আলমগীর ও জলিল মেম্বার আমাদের কাছ থেকে ইউএনও ডিসিকে দিতে হবে এই কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার নিয়ে যায়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য আলমগীর কাজী বলেন,আমি শুধু খবর দিয়েছি যে অনুদানের টাকা ব্যাংকে গেছে। টাকা তোলার ব্যাপারে আমি যাইনি। আমি কাউকে টাকা দিইনি।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য জলিল বলেন, আমি এক টাকাও আত্মসাত করিনি। চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে টাকা উঠানোর সময় যেতে বলছে তা গেছি।
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,মসজিদের লোকজনই বলেছে যে তারা টাকা পাননি। মেম্বাররা টাকা নিয়েছে এটার কোনো প্রমাণ আছে কি? আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে টাকা দিইনি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ আশেকুর রহমান বলেন,“আমরা মসজিদের একাউন্টে টাকা দিয়েছি। পরে তারা যদি টাকা তুলে ভাগাভাগি করে থাকে,সেটা আমাদের দায় নয়।”
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন,“আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
–