আজ চাঁদপুর আসছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী
পদ্মা-মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন সরেজমিন পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে আজ আসছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। ঢাকা থেকে চাঁদপুর এসে তিনি সকাল সাড়ে ১১টায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, নদীর ইকোলজি, জীববৈচিত্র্য ও দূষণ পরিদর্শন করবেন। পরে বিকাল ৩টায় চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন এবং নদীর ইকোলজি. জীববৈচিত্র্য, ইলিশের উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভা করবেন। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদপুরের নদীতে বালুসন্ত্রাস বন্ধে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর এ সফর গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর জেলার নদী অঞ্চল থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। বালু উত্তোলনের কারণে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইলিশ সম্পদসহ নদীর জীববৈচিত্র্য। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর ও স্থানীয়রা বিরোধিতা করলেও বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে প্রভাবশালী চক্র।
এ অবস্থায় চাঁদপুরের নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধে ভাঙনকবলিত মানুষ, জেলে ও জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিআইডব্লিউটিএ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতামত ও চিঠির আলোকে সরকারি সম্পদ ও ইলিশ রক্ষায় ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নদী রক্ষা কমিশসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। ওই চিঠির পর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে সম্পৃক্ত অবৈধ নৌযান জব্দ ও চোরাই বালু বিপণন কার্যক্রমে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় নদী রক্ষা কমিশন।