আমি দেখেছি ‘তাকে’ মনপ্রাণ ভরে

ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ::
যাবো, দেখবো এবং দেখবোই “তাকে! এমন বলতে বলতে সেই যাওয়ার তারিখটা নির্দিষ্ট করতে পারছিলামই না। না, আর বিলম্ব না, এবার আমাকে যেতেই হবে। নায়েমের সাবেক ডিজি ড. লোকমান হোসেন। চাঁদপুরের কৃতিসন্তান , বছর চারেক আগে ভদ্রলোকের সাথে পরিচয়। হাসিখুশি মানুষ, মজার মানুষ, মেধাবী মানুষ। আমি খুব শ্রদ্ধা ও ভালোবাসতে শুরু করলাম তাঁকে। তিনিও একই রকমে। স্যার লেখালেখি করেন। আমাদের চাঁদপুর প্রতিদিনে লিখলেন, এখনো লিখেন। ২০২০ এ চাঁদপুর প্রতিদিন – এর একযুগ পদার্পণে ১০ জন লেখক সম্মাননা প্রাপ্তিদের মধ্যে লোকমান স্যার একজন।
হ্যাঁ, ড. লোকমান প্রানিবিদ্যার ছাত্র, শিক্ষক। ‘ ৯০ দশকে চাঁদপুর কলেজেও শিক্ষকতা করেছেন।
তিনিই এখন তার অবসরকালিন সময়ে আমি “যাকে” দেখবো, তার চারপাশে ঘুরঘুর করেন। তিনিই নন, তাঁর সাথে একটা বড় টিম, যারা প্রমত্তা পদ্মার চারপাশের জীব বৈচিত্র্য নিয়ে, মানুষের জীবনযাত্রা, পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন। মোটকথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ কৃষি বিদ্যালয়সহ একধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টরা! স্যারই বল্লেন – “তাকে” যদি দেখতে চান, তাহলে কালবিলম্ব না করে চলে আসুন! কারন, আর দিনকয়েক পরে এর আশপাশে আমরাও যেতে পারবো না। কারণ নিরাপত্তা বলয়ে “তাকে” আচ্ছাদন করা হবে। তাই আসুন এবং একদিন আগে চলে আসবেন, আমার বাসায় সেদিন থেকে যাবেন। পরদিন প্রত্যুষে আমরা পদ্মার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবো। বল্লাম, আচ্ছা স্যার।
২৪ মে, ২০২১। বাসায় এলাম সোয়া ৩ টায়। বউকে বল্লাম ভাত দাও, ঢাকায় যাবো। কেন? আরে ভাই কাজ আছে!। চেষ্টা করলো কথা নিতে, বল্লাম কাল দেখো, ফেইসবুকে আমি কোথায়। কথা আর বাড়ালো না।
৩ টা ৪০ এর লন্চ ধরবো। লঞ্চঘাটে পৌঁছে গেলাম। ভাবলাম কেবিনে যাবো, আরাম আয়েসে। কারন ভোরে উঠতে হবে কাল, তাই আজ বিকাল সন্ধা এবং রাতটা ঘুম আর ঘুম! কিন্তু না পেলাম না! আর কী করা, প্রথম শ্রেনির একখান টিকিট। টিকিট হাতে নিয়ে যেই চেয়ারে বসতে যাবো, অমনি দেখলাম আমাদের জাকির ভাইয়ের বোন এড. খুকি আর তার স্বামী বসে আছে। ওর সাথে সালাম বিনিময় হলো। অনেকদিন পর দেখা। জিজ্ঞাসা – ঢাকায় কোথায় যাবেন ভাই? বল্লাম, বলবো না। আরে কী বলেন? ভাবীও জানে না? না। ওর সেই চিরচেনা হাসি। থাক্ শুনতে চাই না। বল্লাম – কালকে টের পাবা, আমি কোথায়। কথা হলো। একসময় সদরঘাট, পরে রিক্সায় চেপে ঝিকাতলা। লোকমান স্যারের সাথে তার বাসার ঠিকানা জেনে নেয়ায় বেগ পেতে হলো না আমার। স্যার আমায় রিসিভ করলেন নীচ থেকেই। রাত আটটার মধ্যেই পৌঁছে গেলাম স্যারের বাসায়।
গোসল সেরে নিলাম। সেদিন এতো গরম পরছিলো, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা! স্যার বাসায় বসতেই খেতে দিয়েছেন তরমুজের সরবত। আহ! প্রানটা জুড়িয়ে গেলো।
রাতের খাবার আমি সাধারণত খাই কমপক্ষে ১ টা। কিন্তু সেদিন খেতে হলো ১১ টার মধ্যেই। কারণ ভোরে উঠতে হবে, ” তাকে” দেখতে আমি যাবো। আমাদের মতলবের একসময়ের খ্যাতিমান নেতা যার ছিলো ঢাকায় আরাম বাগের কাজির ম্যাচ, সেই বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা মরহম কাজী সুলতানের মেয়ে আমাদের লোকমান স্যারের সহধর্মিণী খাবার টেবিল সাজালেন এতো আইটেম দিয়ে, মনে হলো আমি নয়া কোন জামাই! শাক, হরেক রকম সবজি বড় ছোট মাছ মাংস কোনটা নাই! আমি তা বলতে পারছি না। ক্ষিদেও পেয়েছে অনেক। স্যারও নাছোড় বান্দা! প্লেট খালি করা যাচ্ছে না।! খাওয়া আধঘন্টা পর তলপেটে কামড়! তার মানে পেট খারাপ হতে চল্লো বুজি। বাথরুম সারলাম। স্বাভাবিক অবস্থা। কিন্তু কে জানে, সকালে যাওয়ার প্রাক্কালে ক’ বার জানি যেতে হয়! একটা ফ্লাজিল খোঁজতেও লজ্জা হচ্ছে। খোঁজবো? না থাক্! ঘরে স্যারের ২ বাচ্চা ও ভাবী আছে। এতো জঘন্য আলোড়ন, চিন্তা হতাশা – এগুলো লোকমান স্যার টের পাচ্ছে না। বরং একটু পর পরই এসে বলছে – ইকবাল ভাই, কী খাইলেন, কিছুই তো খাইলেন না। এখন ফল খান, শরবত খান, আরো কিছু খান। মনে মনে বলি আরে ভাই, আমি আছি আমার মহা চিন্তায়, রাইতভর আর সকালে জানি আমার!! আল্লাহ।
আম্মা বলতো, বিপদ আসলে বা বিপদমুক্ত হতে হলে বড় খতমের দোয়া পড়বি, সুরা ফাতিহা, ইখলাস পড়বি। মার কথা স্মরন হলো। পড়লাম এবং অনেক মনোযোগে শুদ্ধ উচ্চারণে। রাত সাড়ে ১১ টা মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লাম।
২৫ মে, ২০২২ ভোর ৫টা। মোবাইলে এলার্ম দেয়া সাড়ে ৫ টা। তখনো রাতের অন্ধকার পুরোটা কাটেনি, ১৩ তলা প্লাটের আমার শোবার রুমটির খোলা জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম আকাশে মেঘ, ২/১ টা ছোট বড় পাখির ডাক কানে আসছে। মেঘ কিছুটা গর্জনও করলো। আরে মেঘ তুই আকাশে গর্জন কর্ তো ভাই আমার পেটের গর্জন যেন না হয়! হঠাতই ঘুমটা ভেঙে গেলো। আমি ঘুমের আগে যথা নিয়মে রিভোট্টিল খেয়েছি ১ মিলিগ্রাম। কিন্তু ঘুম ভেঙে গেলো কেনো? হয়তো “তাকে” দেখার আগ্রহটাই আমাকে বোধহয় আমার ভেতরের বসবাসি কেউ জাগিয়ে দিলো!
ঘুম আর আসছে না। ভাবলাম, সকালটা ধরেই বৃষ্টি হবে, ঝড় হবে, হয়তো বিকেল পর্যন্ত এমনই। “তাকে” বুজি আমি আজ দেখতে পাবো না? আর আজ না দেখতে পারলে আর দেখাই হবে না, কারণ, আজ রাতে ফিরে পরদিন চাঁদপুরে থাকতেই হবে! তাহলে আমার “তাকে” দেখার স্বপ্নটা স্বপ্ন দিয়ে ঢেকে থাকবে? এমনসব চিন্তা করছি ঐ কাঁচের জানালাটার দিকে তাকিয়ে ।
মোবাইলের এলার্ম না বাজতেই স্যারের পায়ের আওয়াজ পেলাম। হ্যাঁ, তাকিয়ে দেখি ভদ্রলোক আলো জ্বালিয়েছে আমার সামনের রুমটির। ঘড়ি দেখে দেখলাম, ৫ টা ২৫। এলার্ম বন্ধ করে দিলাম। ওয়াশ রুমের পানির শব্দ শুনতে শুনতে চোখ আমার বন্ধ হয়ে গেলো। মিনিট বিশেক বাদে স্যার এসে বল্লেন, ইকবাল সাহেব উঠুন, এখনি গাড়ি চলে আসবে আমাদের নিতে। ঝটপট গোসল সরে নিন, নাসতা নিন! উঠে বসলাম। একটাই ডর পেটে কী আছে গন্ডোগোল!?
না, সেরকম কোন ভাবই নাই। স্যারকে বল্লাম, গোসল করবো না। শীত লাগে, জ্বর এসে যাবে। তাহলে গা মুছে নেন একটু। ওয়াশরুমে গিয়ে দাঁত ব্রাশ করে চোখে খুব ভালো করে পানি দিলাম। কিন্তু বাথরুমের বেগও নাই, গুড়গুড় কোন শব্দও নাই! কী বিপদ, রাতে এতো বেগ এতো যন্ত্রনা, এখন কিছুই না! আবার পা ফেলতেই না জানি!!
যা হবার হোক, আল্লাহ ভরসা। নাস্তা খাওয়ার পর একটা শেষ ঝুঁকি না হয় নেবো।
অনেকসব নাস্তা। রুটি সবজি মাংস দই মিষ্টি, তরমুজ, কলা, আপেল, পেয়ারা বড়ই। আমি ডরে ডরে খাই। স্যার আমাকে জোর করছে, আমি বারণ করছি।
নাস্তা খাওয়ার আগেই পোশাক পরে ফেলেছি। চা খাওয়া শেষ। না, কোন রকম ছোটবড় নিন্মচাপই নেই! স্যারের তাড়া। গাড়ি এসে গেছে। বেশি দেরি হলে জ্যামে পড়বে গাড়ি। যেতে হবে রাজধানী ছেড়ে। যদিও যে রাস্তায় আমায় নিয়ে যাবে সে তো না – দারুন মোলায়েম।
একরকম শারিরীক রিস্ক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কারন ” তাকে” আমার দেখতেই হবে। দেখতেই। জিপের ন্যায় একটা মটর গাড়ি। পথ থেকে উঠলেন আরো দু’ জন নামকরা মৎস ও প্রানি বিজ্ঞানী ও ঢাবির শিক্ষক। লোকমান স্যার আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন।
আমরা গাড়িতে। আমি ঠিক জানলার পাশেই বসলাম। সকাল সাড়ে ৭ টার মতো বাজে।
হ্যাঁ,ক্ষানিক সময় বাদেই যে সড়ক ধরলাম, এ যে মনে হচ্ছে কার্পেট বিছানো এক মহা মহা সড়ক!!
এগিয়ে চলছে গাড়ি, আমি আবেগাপ্লুত হচ্ছি, কারণ “তাকে” দেখবো আর কিছুক্ষণ পর, ছোয়ে দেখবো! অনেক দিনের স্বপ্ন, বাস্তবায়ন হতে চলেছে। আরো আবার বিশেষজ্ঞদের সাথে!
হ্যাঁ, একটু বাদেই দেখলাম – ও যে সুবিশাল পদ্মার উপর একটা বিশাল দেহ নিয়ে হেটে চলেছে, হেটে চলেছে!। এবং ওকে আলগি দিয়ে নিয়ে চলেছে সহযোগীরা, যারা প্রচন্ড রাগ আর অভিমানী স্রোতস্বিনী পদ্মারসব অহংকার চুরমার করে তাকে মাওয়া থেকে সোয়া ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত এগিয়ে জাজিরা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে!! যুক্ত করেছে দক্ষিণের জেলাগুলোকে। না, আমার এ দেখা এখনো পাকা রাস্তা থেকে। আমরা মাওয়া অংশের একটা বাংলো বাড়ির পাশে এসে নামলাম। স্যাররা ঐ বাড়ির দোতলায় নিয়ে গেলেন। এটাই তাদের অফিস। এখানে এসে চা বিস্কুট খেলাম। মিনিট ২৫ এখানে বিশ্রামের পর নেমে এলাম সবাই। যাবো তার কাছে। আহ! এবার আমার পেটের গর্জন। স্যারকে আস্ত করে ডাক দিলাম। কী ভাই? বল্লাম স্যার! আমার একটু! বাথরুমে যাবেন, তো এতোক্ষন সারতে পারতেন। যাক স্যার পিয়নটাকে ডাক দিলেন। আবার উপরে গেলাম। সারলাম!! শান্তি। নীচে নেমে এলাম। একটু লজ্জা ই পেলাম অপেক্ষমাণদের দেখে। একজন বল্লেন – না এ রকম হতেই পারে,আর হয়ে ভালোই হলো। কারণ চরে কোন ব্যবস্থাই নেই। মনে মনে বলি – ভাইজান! এডাই যে শেষ কেমনে বুজলেন? এমনও তো হইতে পারে – ট্রলারের মধ্যেই একাধিক দফা! যাক আবার আম্মার কথা মতো – বড় খতমের দোয়া এবার তিনবার না, ১৫/২০ বার পড়ে ফেল্লাম।
হ্যাঁ, গাড়ি এসে থামলো পদ্মাপারে। পূব দিকে তাকেতেই দেখি, একি অপরূপে সেজেগুজে স্থিরসব পায়ে পদ্মার উপর দিয়ে হেটে চলেছে “সে”!! যাকে আমি দেখেছি স্বপ্নে, দেখেছে বাংলার মানুষ। দেখেছে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ যে আত্নবিশ্বাস আর দৃঢ় প্রত্যয়ের “শুকতারা”! সমৃদ্ধির এক নান্দনিক এক ছবি, যার নাম – “পদ্মা সেতু”। আমার অহংকার, আমি তার পাশে দাঁড়িয়ে আছি! কতক্ষণ পর আমি তার নীচ দিয়ে যাবো! আমি তাকে ছোঁয়ে দেখবো! আমি আমার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার একখন্ড দামি জিনিস, যা আমার দেশের টাকায় তৈরি, তার সাথে আমার সাক্ষাত!? এ যে পরম আনন্দের, উচ্ছাসের, আমার চোখে সত্যিই আনন্দাশ্রুরা জমা হতে লাগলো।
আমরা সবাই ট্রলার চেপে বসলাম। ছবি তুলছি, ভিডিও করছি, ক্ষনে সাক্ষাতকার নিচ্ছি। যতোই কাছে যাচ্ছি ততোই যেন, ভেতরের জমাসব অহংকার কিংবা অহংবোধগুলো বেরিয়ে আসছে। একটা সময় নীচটা পার হলাম। কিন্তু ওর পায়ের একটাকেও ধরতে পারলাম না! লোকমান স্যার বল্লো- ফিরার সময় , এখন সময় নষ্ট করে লাভ নেই। বেলা আছে অনেক। ট্রলার যাচ্ছে এগিয়ে পদ্মার গভীরে বিভিন্ন চরের উদ্দেশ্যে। কিন্তু আমার চোখ পেছনে। ওকে প্রানভরে দেখে নিচ্ছি! এতো সুন্দর তুমি পদ্মা সেতু এখনি! ২৫ জুনে এবং তার পরে তুমি না জানি আরো কতো সুন্দর। বিড়বিড়িয়ে বিশ্বব্যাংক, ইউনুস, আর এদেশের উদ্দেশ্যেমূলক বা বাইচান্চ যারা রাজনীতিক দল আর তাদের নেতাদের বকছি । কতো হিংসামূলক কথা আর অপমান! দেখে যা বেটারাসব এ কী দাঁড়িয়ে? দেখ্ শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখে, দেখায় এবং সেটা বাস্তবে রূপ দেয়। তোদের মুখে চুন কালি!
যাক মনভরে দেখলাম তাকে। অতঃপর আকাশময় কালো একটা মেঘ ধরলো। পদ্মা এখনো শান্ত! কিন্তু ভয় পেয়ে গেলাম, না জানি কী হয়। একটা চরে নেমে স্যাররা অনেক কাজ করলো। এবার আরেকটা। এখন আমরা পদ্মার পুরো গভীরে! পুরো আকাশ কালো হয়ে গেলো। আমার বুক দুরুদুরু! হ্যাঁ, বাতাস বইছে, পদ্মা উত্থাল। বড় বড় বড় ঢেউ এসে আঁছড়ে পড়ছে। স্যার বল্লেন ভয় নেই, আমরা টৃলার ফিরায়ে নিচ্ছি। বসে পড়ুন। একটু পরেই ঝুমঝুম বৃষ্টি, বেশ ভারী বৃষ্টি। এর আগেই ট্রলারে থাকা ছেলেটা বড় আকারের একটা ভারী পলিথিন দিলো। আমরা সবাই ওর মধ্যে। পলিথিনের ভেতর থেকে মাঝে মাঝে উকি দিয়ে দেখি। না, এবার বাতাস কমেছে, একনাগাড়ে তবে ঝাপটা মারে। এমন সময় বউয়ের ফোন। আহ বেচারি! কোথায় আছি জানে না। জানিয়ে দিতে হবে এখনি। কারণ! হ্যাঁ বল্লাম আমি পদ্মানদীর মাঝে, ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে, দোয়া করো। সেখানে কী? আরে পদ্মা সেতু দেখতে আসছি। হায় হায় কী কয়!? তই এখন? আরে আল্লারে ডাকো। পদ্মাসেতু আমি দেখছি, এখন মরলেও কি করা! তারপরও শান্তি। লোকমান স্যারকে বল্লাম – গত ৪৫/ ৫০ বছর ধইরা আমাগো মেঘনা পার হইলাম, এখন বুজি পদ্মায় আইয়া জানডা দিমু স্যার বল্লো – দেয়া লাগবে না, ঐ যে দেখেন মেঘ থেমে গেছে, ঢেউ কমে গেছে, আকাশে দুপুরের সূর্যটা একদম খাড়া হয়ে আলো দিচ্ছে এবং আমাদেরও তীর এসে গেছে। পলিথিন সরিয়ে দেখলাম, তাই তো!! আমরা৷ শিমুলিয়া ঘাট ঘেষে নামলাম। গাড়িটা সেখানে দাঁড়ানো ছিলো। তবে ওকে আর শেষ ছোঁয়াটা আর হলো না। মনে হয় সৃষ্টি কর্তা বলছেন, এবার তুই ছুঁয়ে দেখিস উপর নীচ এবং তা ২৫ জুন থেকে। জয়তু শেখ হাসিনা। তোমার এ কীর্তি অমর, কেউ ভুলবে না।
লেখক পরিচিতি : ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাবেক সভাপতি চাঁদপুর প্রেসক্লাব, সম্পাদক ও প্রকাশক, চাঁদপুর প্রতিদিন, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক সমকাল।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply