এসএসসি পাসে এবারও বোর্ডসেরা চাঁদপুর জেলা

* পাসের হার ৮৫.২১ ॥ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৮৮৭ শিক্ষার্থী
* গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ ও পাসের হার কমেছে
চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
চাঁদপুরে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৮৪টি স্কুলের ২৬ হাজার ৬২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২২ হাজার ৬৮৬ জন। শতকরা পাসের হার ৮৫.২১ শতাংশ। এর মধ্যে জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৮৮৭ জন পরীক্ষার্থী। এ বছর এসএসসিতে বোর্ডের ৬টি জেলার মধ্যে পাসের হারে ৮৫.২১ শতাংশ কৃতকার্য হওয়ায় প্রথম স্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা। আর ৮২.২৬ শতাংশ পাস করায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার চাঁদপুর জেলায় জিপিএ-৫ এবং পাসের হার কমে গেছে।
এদিকে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে কুমিল্লা জেলা রয়েছে সবার উপরে। এ জেলা থেকে ৬১ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯৭৬ জন। আর জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে চাঁদপুর জেলা বোর্ডে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে কচুয়া উপজেলা। কচুয়ায় এবার পাসের হার ৯৩.৬২ শতাংশ। ৮৮.৮৬ শতাংশ পাস করায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলা এবং ৮৭.৩৬ শতাংশ পাস নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলা।
এদিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ৬৪২ এ প্লাস নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলা, ২৯৪ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় জেলায় দ্বিতীয় স্থানে কচুয়া উপজেলা এবং ২৫৮ জিপিএ-৫ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলা।
উপজেলাওয়ারী প্রাপ্ত ফলাফলের হিসাবে দেখা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫০টি স্কুল থেকে ৫ হাজার ২৩০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৪ হাজার ৫৬৯ জন। পাসের হার ৮৭.৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪৭টি স্কুল থেকে ৩ হাজার ৮৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ২ হাজার ৮৫৮ জন। পাসের হার ৭৩.৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৮ জন পরীক্ষার্থী।
কচুয়া উপজেলার ৪০টি স্কুল থেকে ৩ হাজার ৬৬৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৩ হাজার ৪৩৩ জন। পাসের হার ৯৩.৬২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৪ জন পরীক্ষার্থী।
শাহরাস্তি উপজেলার ৩৩টি স্কুল থেকে ২ হাজার ৯৩৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ২ হাজার ৫৬২ জন। পাসের হার ৮৭.২৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৭ জন পরীক্ষার্থী।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২৮টি স্কুল থেকে ২ হাজার ৩৬৮ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ১ হাজার ৯৯৩ জন। পাসের হার ৮১.৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০০ জন পরীক্ষার্থী।
মতলব উত্তর উপজেলার ৪০টি স্কুল থেকে ৪ হাজার ৯০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৩ হাজার ৪১৫ জন। পাসের হার ৮৩.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৪ জন পরীক্ষার্থী।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩৩টি স্কুল থেকে ৩ হাজার ৬৩৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৩ হাজার ২২৯ জন। পাসের হার ৮৮.৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৮ জন পরীক্ষার্থী।
হাইমচর উপজেলার ১৩টি স্কুল থেকে ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৬৮১ জন। পাসের হার ৮৪.৩৯ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন পরীক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে কুমিল্লা বোর্ডে প্রথম হয়েছিল চাঁদপুর

শেয়ার করুন