চাঁদপুরে বেসরকারি ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টের কাজ শেষের পথে
আশিক বিন রহিম :
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে চাঁদপুর শহরের ইচুলীঘাট এলাকায় বেসরকারিভাব স্থাপিত দেশের সুনামধন্য কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের বিদ্যুৎ প্লান্টের নির্মাণ কাজ। চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন লিঃ নামে ১১৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টটির ৯০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসেই প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে। এরপর এখান থেকে উতপাদিত ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। যা বর্তমান সরকার ঘোষিত ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন’ কর্মসূচিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের বাগাদী রোড়স্থ ইচুলীঘাট ডাকাতীয়া নদীর পাড় এলাকায় বেসরকারিভাব স্থাপিত ‘চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশনস লিঃ নামে এই বিদ্যুৎ প্লান্টের কর্মযজ্ঞ পুরোদমে চলছে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ব্যস্ত সময় পার করছে নির্মাণকাজের সবশেষ কর্মযজ্ঞ নিয়ে। পাওয়ার প্লান্টটির ভেতরের পরিবেশে আনা হয়েছে চমৎকার নান্দনীকতা। সবুজে শোভিত করা হচ্ছে এর বাহ্যিক সোন্দর্যকেও।
ডরিন পাওয়ার লিমিটেড এর হেড অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মঞ্জুরুল নাসিম জানান, এখানে প্রায় ৬টি দেশের লোক টেকনিক্যাল কাজ করেছে। যার মধ্যে জার্মান, ফ্রান্স, চিন, শ্রীলংকা, তুরস্কের ইঞ্জিনিয়ররা ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন পক্রিয়ায় সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই/আড়াইশ মানুষ কাজ করছে। এখনো প্রায় শতাধিক লোক কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং এবং আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাব। আশা করছি ডিসেম্বর মাস থেকেই আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশনস লিঃ নামে এই বিদ্যুৎ প্লান্টের কাজ শুরু হয়। চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড নামের কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা হলো ১১৫ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, গত ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি জ্বালানি-বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রাণলয়ে জিওবি’র সাথে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন করেছে। চুক্তির পর থেকে ১৮ মাসের মধ্যে প্লান্টির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার কথা। সে হিসেবে আগামী ১৬ জুলাই থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবার কথা। তবে সম্প্রতিক সময়ে মহামারি করোনার কারনে কাজ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
সূত্র মতে, বিপিডিবি’র সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) অনুযায়ী প্লান্টির মেয়াদ হবে ১৫ বছর। অর্থাৎ প্লান্ট নির্মাণের পর ১৫ বছর পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত কিনবে সরকার।