চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক ওচমান গনি পাটওয়ারী
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারীকে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ করেছে সরকার। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় গত সপ্তাহে চাঁদপুরসহ দেশের ৬১ জেলার নির্বাচিত পরিষদ বাতিল ঘোষণা করে সরকার। এরপর জেলা পরিষদের প্রধান হিসেবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে বিদায়ী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয়, ’জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ (জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী সংশোধিত) এর ধারা ৮২ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গকে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি।
এক প্রতিক্রিয়ায় জেলা পরিষদ প্রশাসক আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনে কাজ করবো। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিতে আমরা কাজ করবো। যেমনটি ২০০৯ সালে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সব ক’টি আসনে বিজয় নিশ্চিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সকলের নাম সুপারিশ করায় কৃতজ্ঞতা জানাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর প্রতি। আমরা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছি এবং আগামীতেও করে যাবো।
সারাদেশের ৬১ জেলা পরিষদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসকরা হলেন : পঞ্চগড়ের মো. আনোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও মু, সাদেক কোরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, রংপুরে বেগম ছাফিয়া খানম, নীলফামারিতে মো. জয়নাল আবেদীন, লালমনিরহাটে মো. মতিয়ার রহমান, কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী, গাইবান্ধায় মো. আতাউর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, টাঙ্গাইলে মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দীন, মুন্সিগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, গাজীপুরে আখতার উজ্জামান, নরসিংদীতে আব্দুল মতিন ভুঞা, নারায়ণগঞ্জে আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন, রাজবাড়ীতে ফকির আব্দুল জব্বার, ফরিদপুরে মো. শামসুল হক, গোপালগঞ্জে চৌধুরী এমদাদুল হক, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, শেরপুরে মো. হুমায়ুন কবির, নেত্রকোণায় প্রশান্ত কুমার রায়, জামালপুরে ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আবদুস সালাম, কক্সবাজাওে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. শফিকুল আলম, কুমিল্লায় আবু তাহের, চাঁদপুরে আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী, ফেনিতে খায়রুল বশর মজুমদার, নোয়াখালিতে ডা. এ. বি. এম জাফর উল্লাহ, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান, রাজশাহীতে মোহাম্মদ আলী সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মো. আশরাফুল হক, পাবনায় মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল, সিরাজগঞ্জে মো. আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, নাটোরে মো. সাজেদুর রহমান খান, নওগাঁ এ কে এম ফজলে রাব্বি, বগুড়ায় মো. মকবুল হোসেন, জয়পুরহাটে মো. আরিফুর রহমান, খুলনায় শেখ হারুনুর রশিদ, সাতক্ষীরায় মো. নজরুল ইসলাম, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, মেহেরপুরে মো. গোলাম রসুল, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গায় শেখ সামসুল আবেদীন, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস, যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পংকজ কুমার কুন্ডু, নড়াইলে শেখ মো. সুলতান মাহমুদ, বরগুনায় মো. দেলোয়ার হোসেন, পটুয়াখালিতে মো. খলিলুর রহমান, ভোলায় আব্দুল মমিন টুলু, বরিশালে মো. মইদুল ইসলাম, ঝালকাঠিতে সরদার মো. শাহ আলম, পিরোজপুরে মো. মহিউদ্দিন মহারাজ, সিলেটে মো. জয়নাল আবেদীন, সুনামগঞ্জে নূরুল হুদা মুকুট, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান এবং হবিগঞ্জে ডা. মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী।
এর আগে ১৭ এপ্রিল ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে।