চাঁদপুর জেলা পৌর সার্ভিস এসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

আশিক বিন রহিম :
বাংলাদেশ পৌর সার্ভিস এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ অক্টোবর শনিবার চাঁদপুর পৌর কর্মচারী সংসদ প্লাজার ৩য় তলায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ সর্দার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর পাকিস্থানপন্থীরা মনে করেছিল বাংলাদেশের হাল ধরার আর কেউ নেই। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরেছেন এবং দেশকে বিশ্ব দরবারে উচ্চ শিখরে দাঁড় করিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে আমি অনেক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টির কারণে আমি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি। তাঁর দেওয়া দায়িত্ব আমি যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি, সেজন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।
তিনি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুধু সরকার কি দিচ্ছি সেদিকে না তাঁকিয়ে আপনি সরকারকে কিছু দিচ্ছেন কিনা তাও ভাবা উচিত।
সরকারের রাজেস্ব খাত থেকে আপনাদের বেতন দিতে যে ‘এক দফা এক দাবী’র আন্দোলন করছেন তার সাথে আমরাও একমত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, আমাদেরকে সেল্ফ গর্ভনিংবডি বলা হয়। সরকার আমাদের কিছু আয়ের ক্ষেত্র করে দিয়েছে। এই আয় থেকেই ব্যয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হচ্ছে। তবে উন্নয়নের জন্য সরকার যদি বিশেষ ব্যবস্থা নেয় এবং নিজস্ব আয় বাড়াতে সরকার সহযোগিতা করে তবে, অবশ্যই পৌরসভা স্বাবলম্বী হয়ে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, আমি পৌরসভায় মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাবার পর অপব্যয়গুলো কমিয়ে এনেছি। পৌরসভার কর্মচারীদের প্রতিমাসের বেতন নিয়মিত দেবার পাশাপাশি তাদের ১৭ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছি। পানির বিল ও পৌর টেক্স কিছুটা বাড়িয়ে পৌরসভার প্রায় ৪ কোটি টাকা আয় বৃদ্ধি করেছি।
পৌর মেয়র বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে রাজেস্ব খাত থেকে বেতনের দাবীতে ‘এক দফা এক দাবী’র আন্দোলন করছেন তার সাথে আমরাও একমত। আপনারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দাবী আদায়ের চেষ্টা করবেন। তবে সেটি যেন সরকারের বিরোধীতা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি পৌরসভার নাগরিকরা যেনো সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমরা সবাই যেন যার যার অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি।
বাংলাদেশ পৌর সার্ভিস এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সচিব একেএম খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল খায়ের (মনু), চাঁদপুর পৌরসভার সচিব, আবুল কালাম ভূঁইয়া, শাহরাস্তি পৌরসভার সচিব তোফায়েল, হাজীগঞ্জ পৌরসভা লাইসেন্স পরিদর্শক আলমগীর হোসেন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা হিসাব রক্ষক (ভাঃ) গিয়াস উদ্দিন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবিএম মাহমুদুন্নবী, চাঁদপুর পৌরসভা ষাঁট লিপিকার মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, ছেঙ্গারচর পৌরসভা প্রধান সহকারী মোহাম্মদ উল্লা, মতলব পৌরসভা প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা অফিস সহকারী আছমা আক্তার, চাঁদপুর পৌরসভা বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা চন্দ্রনাথ ঘোষ চন্দ্র, চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা পারভীন (লাকী), চাঁদপুর পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন, বিলক্লার্ক আ. বাতেন মিয়াজী, কর আদায়কারী মো. এমদাদ হোসেন (মিলন), হাজীগঞ্জ পৌরসভা বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, শাহরাস্তি পৌরসভার এসেসর সামছুল আলমসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মো. হাফিজুর রহমান ও গীতা পাঠ করেন বাবু গোপাল চন্দ্র বনিক।

শেয়ার করুন

Leave a Reply