চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের যেন বাঁধভাঙা ঢল

আশিক বিন রহিম :
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর থেকেও লঞ্চচলাচল শুরু হয়েছে। তবে কঠোর’ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার প্রথম দিনে হওয়াতে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ১১ আগস্ট বুধবার ভোর থেকেই প্রতিটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট থেকে ছেড়েছে। যদিও যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করেছে বিআইডব্লিউটিসি। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিলো।
বুধবার সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধভাঙা যাত্রীদের উপস্থিতিতে কোনো ধরনে সামাজিক দূরত্বই না। একজনের শরীর ঘেঁষে অপরজন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে লঞ্চের জন্য। আর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের চিত্র ছিলো একই রকম। কোন কোন যাত্রীর মুখে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে করতে বিআইডব্লিউটিসি, জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
শাহরাস্তি থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী মজিবুল বেপারী হবলেন, সকাল ৭টায় ঘাটে এসে ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ভয়ে লঞ্চ উঠতে পারিনি। যাত্রীদের মাঝে কোন সচেতনতাই নেই। হাজীগঞ্জ থেকে আসা আরেক যাত্রী বলেন, জীবিকার প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমাদের কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউনে এতো মানুষ আটকে ছিলো যে এভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব না।
এমভি মিতালী লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘অনেক দিন পরে লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আমরা নিষেধ করার পরেও অনেক যাত্রী লঞ্চে উঠে পড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে সময়ের আগেই ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।’ এখন থেকে চাঁদপুর ঢাকার মধ্যে ২৪টি ও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে ১২টি নিয়মিত লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানান তিনি।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিসির উপপরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক লঞ্চের যাত্রী ধারণক্ষমতার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে ঘাট থেকে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে যাত্রীরা তাড়াহুড়া করার কারণে লঞ্চে উঠতে গিয়ে বিপত্তি বাধাচ্ছে। আমরা সকাল থেকেই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নৌ পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিয়ে কাজ করছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply