দূস্কৃতকারীদের ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ : হাজীগঞ্জে ডিআইজি আনোয়ার হোসেন
হাজীগঞ্জে হামলার শিকার মন্দির পরিদর্শন
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
চট্রগ্রামের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন পিপিএম (বার), বিপিএম (বার) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, পুলিশ দূস্কৃতকারীদের ধরতে তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন আটক হয়েছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলা ও সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর ওই এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এখানে যখন সম্পদের উপর আঘাত এসেছে, মানুষের জীবনের উপর আঘাত এসেছে তখনতো সঙ্গত কারণেই এখানে যারা শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল তারা আত্মরক্ষার জন্য এবং সম্পদ রক্ষা করার জন্য তারা তখন ফায়ার করেছে। তিনি জানান, এখানে সর্বমোট ৪ জন মারা গেছেন। এখান থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হাজীগঞ্জে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে।
নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের ৮ তলায় পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, পুলিশ জনগণের যান-মাল ও আত্ম রক্ষার্থে গুলি করেছে। সংগত কারণে সেখানে গুলি যেতে পারে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
ক্ষতিগ্রস্থ পুজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছিরউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাইনুদ্দীন, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী প্রমূখ।