নদী ভাঙন থেকে চাঁদপুর রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করলেন জেলা প্রশাসক
ইব্রাহীম রনি :
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড-১৯-এর নতুন প্রকোপের কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৫ জন মন্ত্রী ও সচিবের উপস্থিতিতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সম্মেলন শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বক্তব্য রাখেন। বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন এবং জেলা প্রশাসকদের পক্ষে চাঁদপুর ও রংপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও আসিফ আহসান বক্তব্য দেন।
বক্তব্যদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুর জেলার অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ নদীভাঙন। স্থায়ী শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় প্রতি বছরই নদী ভাঙনের কারণে এ জেলার নদীতীরবর্তী মানুষের সহায় সম্পত্তি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। একটি স্থায়ী ও শক্তিশালী শহররক্ষা বাঁধ স্থাপন এ জেলার অধিবাসীদের প্রাণের দাবি। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সানুগ্রহ সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে নেয়া শপথের মর্ম অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক দেশগঠনে আমরা জেলা প্রশাসকগণ আপনার নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছাসহ ১৫ আগস্টের কাল রাতে ঘাতকদের হাতে শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন।
তিনি আরও বলেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি সুখি, সমৃদ্ধ, উন্নত ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনার প্রাজ্ঞ দিকনির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন জেলা প্রশাসকগণ। বিগত ২০২০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যখন বিশ্বের অনেক দেশ বিপর্যস্ত তখন আপনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে আমরা সাফল্যের সঙ্গে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি। এই মহামারী মোকাবেলায় আপনার নির্দেশনাসমূহ সফলভাবে বাস্তবায়নের জেলা প্রশাসকগণ দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি জনকল্যাণমূলক উন্নত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে আপনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি উন্নয়ন কার্যক্রম তরান্বিত যে কোন বিরূপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য সক্রিয় রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট। এই মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম কোভিড-১৯ মহামারিতে মানুষের চলাচল সীমিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে।
জেলা প্রশাসকের বক্তব্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনযোগ দিয়ে শুনেন।