নারায়ণের খুনি রাজু সিলেট থেকে গ্রেফতার, টাকা লেনদেনের কারণে হত্যাকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চাঁদপুরে মিষ্টিবিক্রেতা নারায়ণ চন্দ্রকে হত্যা করে চুলের বস্তায় ভরে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় একই এলাকার সেলুন কারিগর রাজু চন্দ্র শীল।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মালিবাগে পুলিশের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ মার্কেটে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ স্থানীয় বাজারে দই-মিষ্টি বিক্রি করতেন।

সেলুনে যেভাবে হত্যা করা হয় নারায়ণ চন্দ্রকে

বিপণীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী ইসমাইল বকাউলের বরাত দিয়ে মুক্তাধর বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজুকে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। রাজুর কাছে দোকান পরিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে তিনি নৈশ প্রহরী ইসমাইলকে বলেন, ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে তিনি দোকান পরিষ্কার করে পুরনো জামা-কাপড়সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজু ওই বস্তাটি বিপণীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরিফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশে গলির ভেতরে ফেলে দেন। ওই বস্তা ফেলে রাজু আবারও দোকানে ফিরে আসেন। এরপর রাজু পানি দিয়ে ওই সেলুন পরিষ্কার করতে থাকেন। ১৬ সেপ্টেম্বর সেলুন থেকে ডাস্টবিন পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে আনলে তিনি দোকান খুলে সেলুনের মেঝেতে রক্তমাখা পানি দেখতে পান। এছাড়াও সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝেতে ও বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখা যায়। ওই ঘটনার পর পালিয়ে যান রাজু চন্দ্র শীল।

ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে তা সিআইডির নজরে আসে। পরে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। রাজুকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয় অভিযান। পরে সিলেট শহর থেকে অভিযুক্ত রাজুকে সিআইডি গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু সিআইডিকে জানায়, টাকা লেনদেনের কারণে তিনি নারায়ণকে হত্যা করেছেন। তবে কত টাকার লেনদেন ছিল সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply